19 C
Kolkata
December 26, 2024
উত্তর সম্পাদকীয়

ঘুমিয়ে থাকলে ভয়াবহ বিপদ আসন্ন

শঙ্কর মন্ডল: মিথ্যা, মিথ্যা আর মিথ্যা ভাষণ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনকে ব্যবহার ছাড়া যে মমতা ব্যানার্জির আর কোনও যোগ্যতা নেই, তা প্রতিনিয়ত প্রমাণের ন্যায় আজ মমতা ব্যানার্জির আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চে ভাষণ ও ঝালদা পুরসভা দখল করার জন্য এসডিপিও-কে বেআইনিভাবে ব্যবহার করার নজির সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে ফের প্রমাণ করলেন। মমতা ব্যানার্জি ভাষণে অভিযোগ করলেন, প্রধানমন্ত্রী সবকিছুর মধ্যে ছবি ব্যবহার করে। যদিও এই অভিযোগ হাস্যকর। আর তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ওনার অভিযোগ সঠিক। কিন্তু ওনার ছবি আর অনুপ্রেরণা ছাড়া যে এই রাজ্যের একটা শৌচাগারও উদ্বোধন হয় না, সেটা কি আড়াল করতে পারবে?

এবার আসা যাক ওনার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে ও সেই টাকার কোনও হিসাব না দেওয়া স্বত্ত্বেও কেন্দ্র কেন তদন্ত করতে দল পাঠাচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো প্রসঙ্গে। মিড ডে মিল থেকে শুরু করে আবাস যোজনা এমনকি ভুয়ো জব কার্ড সম্বলিত একশো দিনের কাজের প্রকল্পে যে লাগামছাড়া দুর্নীতি হয়েছে, তা এখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করতে চলেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাজ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে তালিকা কেন্দ্রের কাছে পেশ করে, তার ওপর ভিত্তি করেই কেন্দ্র পুরস্কার ঘোষণা করে। সুতরাং এই ভুয়ো রিপোর্ট অন্য কোনও রাজ্য পেশ না করলেও পশ্চিমবঙ্গ এক্ষেত্রে বিপুলভাবে পারদর্শী।

আর ঝালদা পুরসভাকে নিয়ে প্রশাসনিক পদকে যেভাবে ব্যবহার করলেন মাননীয়া তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। ১৯৯৩ সালের যে আইনকে ব্যবহার করলেন সেখানে তো এর কোনও মিল নেই। আসলে যার সদস্যপদ খারিজ করা হল, যে দল বদলের জন্য করা হল, আসলে সেটা সম্পূর্ণ হাস্যকর। তাহলে কি তৃণমূল আর মূর্খ সমার্থক? কারণ ওই ভদ্রমহিলা মানে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। অর্থাৎ খাতায় কলমে উনি তৃণমূলের কখনওই ছিলেন না। ওনার প্রতীক জোড়াফুল ছিল না। তাই ওই দলবদলের আইন ওনার জন্য প্রযোজ্য নয়। আর এই এসডিপিও-কে এক্ষুনি সাসপেন্ড করা উচিত। কারণ, আইন সম্পূর্ণ না জেনে, খতিয়ে না দেখে কেবল তাঁবেদারি করার জন্য এই কাজ করা অত্যন্ত বড় অপরাধ।

আসলে এই রাজ্যের সরকার ও সরকারি দল কোনও আইন, যুক্তি, বিজ্ঞান কোনও কিছুকেই পরোয়া করে না। কেবল একজন মহিলা ও তাঁর ভাইপোর হুকুম মেনে চলাই তাদের কাজ। অর্থাৎ একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। সরকার ও শাসক দল পুরোটাই কর্মচারী। এই কোম্পানির আর্থিক লাভের কারণে এই রাজ্যে জেহাদী শক্তিও ভীষণভাবে উর্বর জমি বলে মনে করে। তাই আই এস জঙ্গিরা এখানে নানান পরিকল্পনা করে চলেছে। তাই এখনও ঘুমিয়ে থাকলে ভয়াবহ বিপদ আসন্ন।

Related posts

Leave a Comment