নতুন দিল্লি : গৃহযুদ্ধে জেরবার সুদান। সেখানে এখন কোনও সরকার নেই। সেনা আর আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে তীব্রভাবে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে। এই গৃহযুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিদ্রোহী আধা সামরিক বাহিনী দেদার লুঠপাট চালাচ্ছে হোটেল, দোকান, বাড়ি সহ সব জায়গাতেই। বাতিল হয়েছে বিমান পরিষেবা। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সুদানে কর্মরত ও বসবাসকারী প্রবাসীরা।
ইতিমধ্যেই সেদেশে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে মোদী সরকারের পক্ষ থেকে। ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুধবারই আমেরিকা, ব্রিটেন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সম্প্রতি সুদানে আটকে পড়া ৯১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রিয়াধ। যার মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ মোট ১২টি দেশের নাগরিক। উদ্ধার হওয়া নাগরিকদের মধ্যে ৬৬ জন সৌদির বন্ধু দেশের নাগরিক।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১২০০ জন ভারতীয় সুদানে বসবাস করে। তবে ঠিক কতজন ভারতীয়কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে রিয়াধ? সেব্যাপারে সঠিকভাবে এখনও কিছুই জানা যায়নি। আটকে পড়া ভারতীয়দের বহু আত্মীয় পরিজন তাঁদের প্রিয়জনদের উদ্ধারে সামাজিক মাধ্যমে কাতর আর্জি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের ফলেই সুদানে শাসন ক্ষমতার হাত বদল হয়৷ সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন দেশের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি মহম্মদ হামদান ডাগলো। এই ডাগলো ছিলেন সুদানের শক্তিশালী আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফের শীর্ষ নেতা। আবদেল ফতাহ নাকি ডাগলো? কার হাতে থাকবে ক্ষমতার রাশ! এটা নিয়েই গৃহযুদ্ধ বেঁধেছে সুদানে।
এদিকে সুদানে রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়রা নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছেন। তাঁরা দেশে ফেরার জন্য ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছেন। এরপর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চার দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এদিকে, সুদানে ৪০ জন বাসিন্দা আটকে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজস্থান সরকার। সেই তালিকা বিদেশ মন্ত্রকের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সহযোগিতার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছেন।
previous post
next post
