সংবাদ কলকাতা, ১৯ মার্চ: গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে মৃতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। গত তিন দিন ধরে চলছে উদ্ধার কাজ। কিন্তু ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার হওয়া মানুষের মৃত্যু যেন কিছুতেই থামছেনা। মঙ্গলবার রাত অবধি সর্বশেষ পাওয়া খবরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে পৌঁছেছে।
ইতিমধ্যে ঘটনার পরদিন সকালে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ,কলকাতা পুরসভার মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলে এসে মৃতদের পরিজন ও আহতদের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। তিনি মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্বেও সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা। এই ঘটনার জন্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সরাসরি দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণের পরিমান নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন,ক্ষতিপূরণের পরিমান খুবই কম। রাজ্যসরকার রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। নেতারা তোলা আদায়ের স্বার্থে প্রোমোটারদের অপরাধের সুযোগ করে দিয়েছে। না হলে এই ধরণের মানুষ খুনের ঘটনা ঘটতনা। নাহলে সরকারি খাতায় যে জমিকে পুকুর বলে উল্লেখ করা হয়েছে ,সেখানে ৫ তলা ফ্লাট গজিয়ে ওঠে কিভাবে?
এদিকে বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন এই ধরনের অসাধু প্রমোটাররা অপরাধে ছাড়পত্র পেতে মেয়র ও তাঁর পারিষদদের কোটিকোটি টাকা দামের গাড়ি উপঢৌকন দিয়ে যাচ্ছেন। এইভাবে রাজ্যটাকে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত করেছে। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের তোলাবাজির ফলে জমি দখল, পুকুর ভরাট, বেআইনি নির্মাণ বেড়েই চলেছে।
বামনেতারাও একইভাবে অভিযোগ করেছেন ১০ বছর আগে যে প্রোমোটার অপরাধের দায়ে জেলে ছিল তারা তৃণমূলের জমানায় কিভাবে মুক্ত হল? এবং পুনরায় এই ধরনের অপরাধ মূলক কাজ করার সুযোগ পেল। এর দায় সম্পূর্ণভাবে মমতা সরকারকে নিতে হবে।
previous post