সংবাদ কলকাতা, ২৮ আগস্ট: ‘অসংবেদনশীল, দায়িত্বহীন সরকার। দত্তপুকুরে যা হয়েছে, ছাদ উড়ে গেছে। বিধানসভায় বিজেপির পক্ষ থেকে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলাম। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী জানাবেন। কিন্তু ভোট নিয়ে রাজনীতি করেন। একটু পরে আসবেন উৎসবে যোগ দিতে। এতগুলো ঘটনায়, এতলোক মারা গেছে। আমাদের পড়তে দেওয়া হয়নি। ১০ মিনিট স্লোগান দিয়েছি।
বিধানসভার অধিবেশনে পরিষদীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন জানতাম না। বলেছিলেন, বিস্ফোরণ আর হবে না। এর পরেও হয়েছে। কাল সব সীমা অতিক্রম করেছে। ছাদ উড়ে গেছে। আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে। সাফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে তৃণমূল করতো। তৃণমূলের যোগ আছে। ৫০ হাজার টাকা তোলা হতো। মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলায় হাত বোমা সাপ্লাই হতো। জাকির হোসেনের উপর আক্রমণে বিস্ফোরক এখান থেকে গিয়েছিল। এটা সরকারের নির্লজ্জতা। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। চাই এনআইএ-এর কাছে মামলা হস্তান্তর করা হোক। আমরা স্টেটমেন্ট চাই।
কেন্দ্র সরাসরি এনআইএ দিতে পারে না। এরা সেটা করবে না। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ডালখোলা নিয়ে এনআইএ আটকাতে। আমরা আাশাবাদী, কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছি। এতবড় ঘটনার পর সিএমএসে বক্তৃতা করতে যেতে পারতেন। তাঁর কাছে আগে পিএম-কে নিয়ে ভাষা সন্ত্রাস। রাজ্যপাল চলে যাচ্ছেন মাটিগাড়া, দত্তপুকুর। কাল চলে যেতে পারতাম। কাল কাজ ছিল ফায়ারব্রিগেড, ফরেনসিকের। আমরা আজ যাব। সিএম জামাত, রাজাকারদের ঢুকিয়ে দিয়েছে। শাহজাহান শেখ, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর খুনি পার্কসার্কাসে লুকিয়ে ছিল। সিপিএম, তৃণমূল লুকিয়ে রেখেছিল। এখান থেকে মুর্শিদাবাদে বোমা সাপ্লাই হয়েছে। ওরা বিজেপি-র নয়। আইএসএফ-এর লোক বলেছে, মন্ত্রী চোর। ৫৬টা কারখানা রয়েছে। আইসি-র মাধ্যমে টাকা তোলা হয়। সমবায়ে অডিট হয় না। মাওবাদীরা সরসরি বলছে, আমরা মাওবাদী। কিছুদিন পরে ধোঁয়াশা হয়ে যাবে। ওদের কিছু হবে না। বিরোধী দলনেতাকে হামলা করেছিল। কিছু হল না। এবিভিপি-কে ধরা হল। গান্ধীমূর্তির কাছে যারা কর্মসূচি করছে তারা ছাত্র নয়। তাঁরা সব গুটখা খোর, গাঁজা খায়, মদ খায়।
