নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস প্লাস যোজনায় রাজ্য প্রায় ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার ঘর তৈরির জন্য ৮২০০ কোটি টাকা পেয়েছে। সেই টাকা যাতে সঠিকভাবে বন্টিত হয় তার জন্য কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল প্রতিটি পঞ্চায়েতকে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রামসভা ডেকে নির্ধারন করতে হবে, কারা ঘর পাওয়ার যোগ্য এবং কারা যোগ্য নয়। আর সেখানেই বেধেছে বিপত্তি। সেখানেও প্রভাব খাটিয়ে বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করে শাসক দলের নেতারা স্বজন পোষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ। এই গেঁরোয় পড়ে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা।
বুধবার এরকমই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল গাইঘাটা থানার সুটিয়া অঞ্চলের গ্রামবাসী। সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে আজ দুপুর দুটোর সময় গ্রামসভা ডাকা হয়। এই সভার সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান মিহির বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি সহ প্রশাসনের একাধিক কর্তা ব্যক্তিরা। পাশাপাশি, উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা বাবলু দাস সহ আরও জনা পঞ্চাশেক পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বার ও বিজেপি কর্মকর্তারা। সভার শুরু থেকেই চেষ্টা করা হয় বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করার।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে সমীক্ষা করে প্রায় ২৫০-৩০০ জনের একটি নামের তালিকা করা হয়। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, এই নামের তালিকায় একতরফা স্থান পেয়েছে সুটিয়া, গাজনা ও বিষ্ণুপুর সংলগ্ন স্থানের গ্রামবাসীরা। অপরদিকে পাঁচপোতা ও তৎসংলগ্ন একটি বৃহৎ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বঞ্চিত হয়েছে এই তালিকা থেকে। যা নিয়ে প্রতিবাদ করায় সভার মধ্যে জটলা সৃষ্টি হয়। তারপর হঠাৎই সভাপতি মিহির বিশ্বাস সভার মুলতবি ঘোষণা করেন।
বিরোধী দলের একজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জানান যে, বিরোধীরা ঐ গ্রামসভায় কিছু বক্তব্য রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করে পঞ্চায়েত সেক্রেটারীকে বারবার অনুরোধ জানান। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই সভা মুলতবি ঘোষণা করলে সেক্রেটারি দায় এড়িয়ে গিয়ে বলেন সভাপতি সভার মুলতবি ঘোষণা করলে আমি কী করব? তাতে ক্ষুব্ধ হন বিরোধী পক্ষ ও সাধারণ গ্রামবাসীরা।
previous post
next post