সংবাদ কলকাতা: এবার থেকে গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ সংস্কার শেখানোর উদ্যোগ নিল আরএসএস। যাতে তার প্রভাব পড়ে শিশুর উপর। গর্ভাবস্থায় মায়েদের শেখানো হবে ভারতীয় সংস্কার ও মূল্যবোধ। ভগবান শ্রীরাম, শিবাজী, পবন পুত্র হনুমান, এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া বিভিন্ন মনীষীদের জীবন কাহিনী সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হবে। যাতে মায়ের মাধ্যমে সন্তানের ডিএনএ-তে তার প্রভাব পড়ে ও দেশপ্রেম সঞ্চার হয়। বিজ্ঞান ভিত্তিক উপায়ে এই সংস্কার শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে আরএসএস-এর শাখা সংগঠন সম্বর্ধিনী ন্যাস।
রাষ্টীয় স্বয়ং স্বেবক সংঘের এই মহিলা বিভাগ এবিষয়ে দেশজুড়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গর্ভসংস্কার’। নতুন প্রজন্মের শিশুদের রক্তের মধ্যে ভারতের প্রাচীন গৌরব ও জাতীয়তাবোধ প্রোথিত করায় এই আভিযানের মূল উদ্দেশ্য। আর এই ‘গর্ভসংস্কার’ শেখাতেই এগিয়ে এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা।
এবিষয়ে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতির এই শাখা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রায় ৭০ জন বিশিষ্ট চিকিৎসক। এই চিকিৎসকরা দাবি করেছেন গর্ভ সংস্কার সঠিক হলে গর্ভাবস্থাতে সন্তানের ডিএনএ বদল ঘটতে পারে ও উন্নত হতে পারে। এপ্রসঙ্গে এদিনের অনুষ্ঠানে সংস্থার সদস্যদের আলোচনায় সমকামীতার প্রসঙ্গ উঠে আসে। গর্ভাবস্থায় সন্তানের লিঙ্গ নিয়ে চিন্তাভাবনা করাকে এর কারণ বলে দায়ী করেছেন। এপ্রসঙ্গে ডাঃ শ্বেতা ডাঙ্গরে দাবি করেন, কারও প্রথম সন্তান ছেলে হওয়ায় দ্বিতীয়বারে মেয়ে সন্তানের আশা করছেন। কিন্তু দেখা গেল, ফের পুত্র সন্তানের জন্ম হল। এক্ষেত্রে বড় হয়ে ওই পুত্র সন্তানের ভিতর সমকামী মানসিকতার জন্ম দিতে পারে।
সম্বর্ধিনী ন্যাসের জাতীয় সম্পাদক মারাঠে মাধুরি বলেন, গর্ভাবস্থায় মায়ের মাধ্যমে সন্তানের মধ্যে সংস্কারের বীজ বপন করতে হবে। তাদের ডিএনএ-তে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে হবে। তিনি দাবি করেন, গর্ভে থাকাকালীন সময়ে শিশু অন্তত ৫০০ শব্দ শেখার ক্ষমতা রাখে। সেইজন্য মহিলাদের গর্ভাবস্থায় সংস্কৃত পড়া ও গীতা পাঠ করা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকে নিতে পারে। আলোচনায় উঠে আসে শিবাজির গর্ভাবস্থায় মা জিজাবাঈয়ের ভূমিকার কথা। এছাড়া মহাভারতের গর্ভাবস্থায় অভিমন্যুর শিক্ষার কথাও আলোচনায় উঠে আসে।
previous post