মিলন খামারিয়া, ২৮ শে মার্চ: খড়দহ বিধানসভার অধীন খড়দহ মণ্ডল-১,২ ও ৩ এর বিজেপির কার্যকর্তা, কর্মীরা মিলে আজ সকালে বিক্ষোভ কর্মসূচীর আয়োজন করেন। খড়দহ স্টেশন সংলগ্ন সূর্যসেন পূজা মন্ডপের সামনে থেকে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এই পদযাত্রা শেষ হয় খড়দহ পৌরসভা ভবনে গিয়ে।
সারা রাজ্যব্যাপী তৃণমূল সরকারের সার্বিক দুর্নীতি সহ বিভিন্ন পৌরসভায় বে-আইনি নিয়োগের প্রতিবাদে এদিন সরব হলেন বিজেপির কর্মীরা। আজ তারা খড়দহ পৌরসভার সামনে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করেন ড. কল্যাণ চক্রবর্তী। অধ্যাপক চক্রবর্তীকে পথে নেমে প্রতিবাদ করতে দেখে খড়দহের মানুষ বিশেষ উৎসাহিত হন। খড়দার রাজনীতিতে এক সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ হিসাবে জনপ্রিয় অধ্যাপক ড. কল্যাণ চক্রবর্তী। তাই পথ চলতি মানুষ এবং পথিপার্শ্বস্থ দোকানী, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বিশেষ সাড়া পড়ে যায়। বিজেপির এদিনের কর্মসূচীর সমর্থনে আগামী দিনে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে বেশি সংখ্যক মানুষ সঙ্গে আসবেন বলে রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞ মহলের ধারণা। তারা বিজেপির পতাকাতলে এই আন্দোলনের সার্বিক সাফল্য কামনা করতে থাকেন।
অধ্যাপক চক্রবর্তী বলেন, “প্রশাসন দুর্নীতি মুক্ত করতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি। খড়দহের মানুষের এখন কাজ হল, দুর্নীতিবাজদের অবিলম্বে সরিয়ে প্রশাসনকে স্বচ্ছ করে তোলা। খড়দহের মানুষ এই দুর্নীতিবাজদের সরাতে সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসবেন বলে আমি আশাকরি। “
খড়দহ বিধানসভায় বিজেপির তিন মন্ডল প্রেসিডেন্ট এদিন উপস্থিত ছিলেন। ২ নম্বর মন্ডল প্রেসিডেন্ট অরিন্দম ঘোষ বলেন, ” খড়দহ পৌরসভার মানুষের কাছ থেকে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য প্রতি বাড়ি থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অনৈতিকভাবে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। প্রোমোটারদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিচ্ছে শাসক দলের লোকেরা। সারা রাজ্যের মতো খড়দহতেও শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এই সার্বিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আজ এই বিক্ষোভ মিছিল”।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল ১ ও ৩-এর প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে প্রবীর মুখার্জী ও তন্ময় গুহ।
previous post
