অমিত ভট্টাচার্য: ১১ই জুন,খড়দহ।গতকাল ‘রং’-এর পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল ‘রবীন্দ্র-নজরুল কবি প্রণাম’ সন্ধ্যা,খড়দহের স্টেশন সংলগ্ন শান্তিনিকেতন এপার্টমেন্ট-এর ছাদে।
এদিন শুরুতেই ‘খড়দহ আর্টিস্ট গ্রুপ’ পক্ষ থেকে প্রসেনজিৎ ঘটক, ‘দেশের মাটি’র পক্ষ থেকে মিলন খামারিয়া ও ‘রং’-এর পক্ষ থেকে আত্রেয়ী চক্রবর্তী – প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। একে একে সবাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এরপর রং-এর শিল্পীরা মিলে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সঙ্গীতের তালে তালে নৃত্যও পরিবেশন করেন রং-এরউ শিল্পীরা।২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে রং-এর যাত্রা শুরু হয়। করোনার সময় দুঃস্থ মানুষদের সেবা কাজ করেছেন তারা। বর্তমানে তারা শিল্পীদের দিয়ে সঙ্গীত ও নৃত্য চর্চা করে চলেছেন। রং-এর ২২ জন সদস্যই বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত আছেন।
এদিন মিলন খামারিয়া বলেন -” রং-এর এই কবি প্রণাম অনুষ্ঠান বর্তমান সময়ে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা বাঙালিরা যদি নিজেদের সংস্কৃতির চর্চা না করি তাহলে আমাদের সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে। সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করে আমাদের সংস্কৃতিকে আমাদেরই বাঁচিয়ে রাখতে হবে আর তার মাধ্যমে বাঙালি জাতিও বেঁচে থাকবে।”
‘দেশের মাটি’ আরেক সদস্য অরিত্র ঘোষ দস্তিদার বলেন -” সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি আমাদের বাংলা ভাষার চর্চাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। অন্য ভাষার শব্দকে জোর করে আমাদের ভাষায় ঢোকানো হচ্ছে, যা আমাদের বাংলা ভাষার পক্ষে ক্ষতিকর।”
আজকের এই কবি প্রণাম অনুষ্ঠান এবং ‘রং’-এর ভবিষ্যৎ কর্মসূচি সম্পর্কে সম্পাদিকা আত্রেয়ী চক্রবর্তী জানান যে -” আমরা মানুষের মনের সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি গৃহের কাজের পাশাপাশি মেয়েরা চাইলেই যে অনেক কিছু করতে পারে সেটাকেও আমরা প্রমাণ করতে চাইছি। আমরা নারী,আমরা পারি। সাংস্কৃতিক কাছের পাশাপাশি আমরা আগামী দিনে বৃক্ষরোপণ ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করব।”
এই অনুষ্ঠানে গার্গী মল্লিকের কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করেন ‘গুরুগৃহ’-এর ছাত্রীরা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুজয় দাশগুপ্ত।
previous post