কোয়েটা: গত সোমবার পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ। মৃতদের মধ্যে ছিলেন অধিকাংশই পুলিশ কর্মী। আজ রবিবার দুপুরে বালুচিস্তানের কোয়েট্টাতে ফের বিস্ফোরণ। জখম ৫ জন। এবারও বিস্ফোরণের টার্গেট সেই পুলিশ। সিরাজাবাদের কাছে পুলিশের একটি গাড়ি পৌঁছতেই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের সময় পাশেই নবাব আকবর বুগতি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সুপার লিগের একটি প্রদর্শনী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছিল। বাবর আজম ও সরফরাজ আহমেদের দলের ম্যাচ চলার সময় এই বিস্ফোরণটি ঘটে। স্টেডিয়ামে তখন ছিলেন প্রায় ১৩ হাজার দর্শক। দর্শকদের ভিড়ে ঠাসা সেই স্টেডিয়ামে ছিলেন বাবর আজম ও শাহিদ আফ্রিদি সহ প্রথমসারির পাক ক্রিকেটাররা। বিস্ফোরণের পর তাঁদেরকে ড্রেসিংরুমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, এই ম্যাচে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নিরাপত্তার কথা ভেবে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই টুর্নামেন্টটি। বিস্ফোরণের পর ম্যাচ বন্ধ হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। যদিও পরে প্রশাসনের নির্দেশ পেতেই ম্যাচটি আবার চালু হয়ে যায়। একজন পাক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ম্যাচ বন্ধ করে কিছুক্ষণের জন্য খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ম্যাচ আবার শুরু হয়।’
এদিকে ম্যাচ বন্ধ হতেই স্টেডিয়ামের ভিতরে ও বাইরে দর্শকদের প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। ম্যাচ বন্ধ হতেই সমর্থকরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। সেই ভিডিও এবং খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা পাকিস্তানকে নিয়ে বিভিন্নরকম কমেন্টস করতে শুরু করে। ভারতীয় নেটিজেনদের অনেকে বিষয়টি নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করতে শুরু করতে থাকে।
প্রসঙ্গত আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলেছে পাকিস্তান সুপার লিগ অর্থাৎ পিএসএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। আজ কোয়েটাতে বুগতি স্টেডিয়ামে ছিল তারই একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। পুলিশ লাইন এলাকায় বিস্ফোরণের পর বুগতি স্টেডিয়ামে সরফরাজ আহমেদের কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস এবং বাবর আজমের পেশোয়ার জালমির মধ্যে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম খেলাটি হবে মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুলতান সুলতান এবং লাহোর কালান্দার্সের মধ্যে। ১৫ মার্চ থেকে প্লে-অফের খেলা হবে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ মার্চ।
সামনেই রয়েছে এশিয়া কাপের খেলা। কিন্তু এরকম একটি প্রেক্ষাপটে ঘটল বিস্ফোরণ। ফলে পাকিস্তানে গিয়ে ভারতীয় দলের এশিয়া কাপ খেলার সম্ভাবনা অনিশ্চিত। কারণ সেদেশে নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
previous post