বিশেষ সংবাদদাতা, কোচবিহার: গ্রেপ্তার হলেন কোচবিহারের অধ্যাপক রানা রায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে প্রাণনাশের হুমকি-চিঠিতে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। যদিও এবার অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে টালা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে অধ্যাপক রানা রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার করার পর সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটের সময় এই রানা রায়কে কলকাতার শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে শুনানির সময় রানার আইনজীবী দাবি করেন, গত ১৫দিন ধরে ছেলেকে কলেজে ভর্তি করানোর জন্য ভুবনেশ্বরে ছিলেন রানা রায়। সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, উনি একই অপরাধ বার বার করেছেন। একাধিক অভিযোগ রয়েছে উনার বিরুদ্ধে। বহু চিঠি পাওয়া গিয়েছে। যার খামগুলিরও বিশেষত্ব রয়েছে। সেই সব বাজেয়াপ্ত করা জরুরি বলে জামিনের বিরোধিতা করেন।
অন্যদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, উনি একটি কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান। কাজে যোগ না দিলে চাকরি নিয়ে সমস্যা হবে। তাঁদের আরও বক্তব্য, পুলিশ নোটিশ দেওয়ার সময় দেয়নি। উনি পালাচ্ছিলেন না। উনি কোচবিহারেই বেশি সময় থাকেন। আরও একটি ঠিকানা আছে উনার। সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, উনি পালিয়ে যেতে পারেন, তাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবশেষে এই রানা রায়ের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।
previous post
