সংবাদ কলকাতা: বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি কেষ্ট মন্ডল এখন জেলে। কেষ্টহীন বীরভূমে পঞ্চায়েতের জয় নিয়ে চরম সংশয়ে জোড়াফুল শিবির। বীরভূমে কেষ্ট নেই মানে, এবার আর পঞ্চায়েত ভোটে গুড় বাতাসা বিলি হবেনা, চড়াম চড়াম আওয়াজ উঠবেনা, পাচন দাওয়াইও দেওয়া হবেনা। তাহলে প্রতিবাদী ভোটারদের বাগে আনবেন কিভাবে? গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত কেষ্ট জেল থেকে ছাড়া না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাহলে বীরভূমের দুর্গ জয় কীভাবে সম্ভব?
এদিকে বীরভূমের ভোটবাক্সে থাবা বসাতে মাঠে নেমেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, এইরকম পরিস্থিতিতে দলের কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে বীরভূমে আসছেন তৃণমূল নেত্রী। বীরভূমের পর নদীয়া জেলা সফরেও যাবেন তিনি। সেখানে দলের নেতা কর্মীদের গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর চেষ্টা করবেন তিনি।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম সফরে আগামী ৩১ জানুয়ারি যেতে পারেন মমতা। বোলপুরে ডাকা হতে পারে প্রশাসনিক বৈঠক। এমনকী জেলায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান হতে পারে ১ ফেব্রুয়ারি । সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেজন্য নেত্রীর এই জেলা সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে করা হচ্ছে। জেলায় থাকাকালীন তিনি স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন। এরপর এখন থেকে নদীয়া যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। যদিও এব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। কারণ নদীয়া সফরের তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
দলের অন্দরেও বীরভূম জেলা সফর নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। সবাই ভয়ে তটস্থ। জেলা সংগঠন নিয়ে কেষ্ট মন্ডল ছিলেন অদ্বিতীয়। এই বিষয়ে দলের একাংশ জানিয়েছে, গোটা জেলায় সংগঠনে তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল। কেষ্টর অনুপস্থিতিতে সবাই এখন দোলাচলে। তাই এখানে সংগঠনের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী। যাবেন নদীয়া জেলা সফরেও। এই দুই জেলা নিয়ে বড়োই সংশয়ে তিনি। সেজন্য গোটাটাই নজরে রাখতে চাইছেন তিনি। কারণ, সংগঠন মজবুত রাখতে সব কিছু নিশ্ছিদ্র করতে চাইছেন তিনি। নিশ্চিতভাবে ভোট পেতে হলে নিচুতলার সংগঠন ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় থাকা জরুরি।