শঙ্কর মণ্ডল
আজ রাজ্য জুড়ে রাজ্য বিজেপি-র তফসিলি মোর্চার ব্যানারে ঐতিহাসিক মরিচঝাঁপি দিবস পালন করল। যদিও আজকের জনগণ তো বটেই এমনকি রাজনৈতিক কর্মীরাও এই মরিচঝাঁপি নিয়ে কতটা জানেন বা আদৌ এই বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক করার মতো অবস্থায় আছে কিনা সন্দেহ।আর আজ সিপিএমের নতুন প্রজন্মের কিছু সবজান্তা নেতা দাবি করে যে, তারা মহান লোকজন ও আদর্শ নিয়ে চলে। তাদের মরিচঝাঁপি ও বিজন সেতু এই ঘটনাগুলো নিয়ে একটু পড়াশোনা করতে অনুরোধ রইলো।
তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বর্তমান রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি। তাই নিয়ে তদন্ত ও এসব কিছুর আড়ালে সনাতনী ঐতিহ্য, সংস্কৃতির বিলোপ ঘটিয়ে সেকুলার সেকুলার আওয়াজ তুলে এই রাজ্যটাকেই জেহাদীদের হাতে তুলে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তাকে প্রতিহত করতে সনাতনী ঐক্য অবশ্যম্ভাবী। আর এই কাজে মৌলবাদীদের ওপর দায় দিলেই চলবে না। হিন্দুদের ক্ষুদ্র স্বার্থ, লোভও যথেষ্ট দায়ী হিন্দু ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে। এটাই সবচেয়ে বড় বাধা।
মমতা ব্যানার্জি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা বিপুল অভিযোগ খন্ডন করে বেশ কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় সামনে এনে ফোকাস ঘুরিয়ে দিতে। আর বর্তমান রাজ্য সরকারের দেউলিয়া অর্থনীতিকে মোকাবিলা করতে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে আসতে চলেছে এক জনমুখী বাজেট। যদিও আমরা শঙ্কিত এই রাজ্যে এই জনমুখী কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হবে কিনা তা নিয়ে।
এমনিতেই এখানে কাজ নেই। মানুষকে স্বনির্ভর করে তোলার কোনও পরিকল্পনা নেই। ই-রিক্সা চালিয়ে একটা বড় অংশ এই রাজ্যে পেট চালায়। এই রাজ্যে ই-রিক্সা নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের লুঠের জায়গা হিসেবে এই ই-রিক্সাকেও ছাড় দেয়নি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এর বিরুদ্ধে বহু জায়গাতেই বিশেষ করে হাওড়া ও মালদায় বড় আন্দোলন করেছি। আগামী দিনে এই আন্দোলন নতুন করে শুরু করা হবে। যখনই আবার লাইসেন্স দেওয়ার নামে লুঠ শুরু করবে রাজ্য সরকার।
সুতরাং মিথ্যা ভাষণ, জেহাদীদের তোষণ ও সর্বোপরি বৈদেশিক শক্তির আগমন রুখতে আমরণ সংগ্রামে আমরা দায়বদ্ধ।
বি: দ্র: লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত।