সংবাদ কলকাতা: শনিবার সারা রাজ্য জুড়ে এক দফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলা রক্তাক্ত হয়েছে। সমগ্র নির্বাচনে বলি হয়েছে প্রায় ৪২টি তরতাজা প্রাণ। এছাড়াও ছাপ্পা, বুথ দখল, ভোটকর্মীদের উপর অত্যাচার, বোমা, গুলি সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসী যে সন্ত্রস্ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এরই মধ্যে সোমবার সন্ত্রাস কবলিত এলাকার ৬৯৬টি বুথে শুরু হয়েছে নতুন করে ভোট গ্রহণ। তবে সোমবারের চিত্রটা একটু অন্যরকম। এই পুনর্নির্বাচন নাকি সম্পন্ন হচ্ছে সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মোড়কে। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বুথে কমপক্ষে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তাহলে প্রশ্ন, পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও শনিবার কেন তাদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হল। তাদেরকে যদি সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় মোতায়েন করা হতো তাহলে হয়তো এতগুলি প্রাণ অকালে ঝরে যেত না।
অপরদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে রবিবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে তিনি দেখা করবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। যা নিয়ে রীতিমতো শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে লাগু হতে চলেছে ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ ধারা। যে ঘটনা রীতিমতো ঘুম কেড়েছে রাজ্যের শাসক দলের।
previous post