সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: বিরোধীদের ফাঁকা মাঠে হওয়া গরম করতে চাইছে কেজরিওয়ালের আপ। যাতে কংগ্রেসের ভোট কিছুটা হলেও দখল করে গত্তি বাড়ানো যায়। প্রচারে সামনে রাখা হয়েছে সস্তার দিল্লি মডেল। যদিও বিজেপি নেতারা আপের সস্তা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে দিচ্ছেন। তাঁরা রাজ্যবাসীকে সজাগ করেছেন যে দিল্লিতে আপ সরকার মানুষকে অহেতুক বিদ্যুতের বিল মকুবের মতো দান খয়রাতি করে ভোটারদের মন জয় করলেও এরফলে টাকার অভাবে রাজ্যের মূল উন্নয়নগুলি থমকে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, শিশু ও নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে পড়ছে কেজরিওয়াল সরকার। এই টাকাগুলি উন্নয়নমূলক খাতে ব্যয় করলে পরবর্তী প্রজন্ম আধুনিক সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আরও অনেকটা এগিয়ে যেতে পারত। উন্নত করা যেত শিক্ষা পরিকাঠামো। বাড়ত কর্মসংস্থান। উন্নত করা যেত রাস্তা, ব্রিজ, হাসপাতাল সহ অন্যান্য পরিকাঠামো। এর ফলে পরবর্তী প্রজন্মকে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।
গত ২৭ বছরে বিজেপির শাসনে মোদির গুজরাটে স্কুল, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট সহ পরিকাঠামো, ব্যবসা ও কর্মসংস্থানে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
অধিকতর স্বচ্ছল গুজরাটবাসী দান খয়রাতি গ্রহণের পরিবর্তে পরবর্তী প্রজন্মকে উন্নত করা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিশ্বাসী। প্রমাণস্বরূপ বিভিন্ন রাজ্য থেকে গুজরাটে কাজ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এমনকি কর্মহীন ও নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত বেকার সর্বস্ব বাংলা থেকে গুজরাটমুখী মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। সেজন্য গুজরাটের মানুষ আপের এই ভবিষ্যৎশূন্য, অদূরদর্শী প্রকল্প আর প্রলোভনের ফাঁদে পা দিতে মোটেই আগ্রহী নয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
