সংবাদ কলকাতা: এপ্রিল থেকে রাজ্যজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। রাজ্যবাসী চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছে। কবে বর্ষা নামবে। অন্যান্যবার জুনের প্রথমে বাংলায় বর্ষা ঢুকে গেলেও এবার তার দেখা নেই। এবছর বর্ষা আসতে বেশ বিলম্ব হচ্ছে। গত বছর ভারতে ১ জুন বর্ষা প্রবেশ করেছিল। আজ ৮ জুন কেরল ও তামিলনাড়ুতে বর্ষা প্রবেশ করেছে। এবার পাক্কা এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। কিন্তু বাংলায় কবে বর্ষার আগমন ঘটবে, সেব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় আবহাওয়া দপ্তর। তবে রবিবার থেকে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল বাদে বাকি অংশে তাপপ্রবাহ কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ক্রমশ উত্তর ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেটি উত্তর পশ্চিম ভারতের সংলগ্ন এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বলে ধারণা আবহাওয়াবিদদের।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে প্রতিবার বর্ষা নামে ভারতীয় উপমহাদেশে। সাধারণত এই বায়ু মায়ানমার হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবেশ করে। কিন্তু এবার সেই বায়ুস্রোত মায়ানমারে এসে থমকে যেতেই ভারতে বর্ষা নামতে দেরি হয়ে গেল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মায়ানমারের কাছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। যেটি দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুকে সিকিম ও উত্তরবঙ্গে টেনে আনবে। আজ কেরলের সিংহভাগ অংশে এবং তামিলনাড়ুর দক্ষিণ অংশে বর্ষা প্রবেশ করেছে। আগামী শনিবার তামিলনাড়ুর বাকি অংশে এবং কর্ণাটক ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু অংশে এই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে চলেছে। ফলে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি নামবে।
তবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামতে আরও একটু সময় লাগতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দপ্তর জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গে আংশিকভাবে ঝড়বৃষ্টি হলেও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এই সময় উত্তরবঙ্গে পুরোপুরি বর্ষা নেমে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে আরও কিছুটা বিলম্ব হবে। ফলে জুনের তৃতীয় সপ্তাহের আগে রাজ্যে সামগ্রিকভাবে বর্ষা প্রবেশের কোনও সম্ভাবনা নেই।
next post
