April 16, 2025
দেশ

কর্মসংস্থানের নতুন দিশা হতে চলেছে মৌমাছি চাষ

কোচবিহার: “শ্বেত পদ্ম মধুর খোঁজে” – মধু, সর্দি জ্বর থেকে শুরু করে গলা এবং বিশেষ করে শরীরের হাড়ে ফ্লুইট তৈরি করতে সহযোগিতা করে। একসময় কোচবিহারে প্রচুর পরিমাণে এই মধু উৎপাদন হতো। বিশেষ করে শীতের সময়। এই দিনকে ফিরিয়ে আনতে নতুন উদ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কোচবিহার শহর পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুধী নাগরিক সমাজ। রাজমাতা দিঘি এপিয়ারি শীর্ষক এই সংস্থাটি কোচবিহার রাজমাতা দিঘির বেশ কিছু স্থানে মৌমাছি প্রতিপালনের বাক্স বসিয়েছে। তাদের দাবি এই মৌমাছি পালন আগামী দিনে কর্মসংস্থানের নতুন দিশা হয়ে উঠতে পারে কোচবিহার জেলায়। সম্প্রতি দেখা গেছে কোচবিহার রাজমাতা দীঘি ভরে উঠেছে শ্বেতপদ্ম তে। আর তারই মধু সংগ্রহ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে মৌমাছি।
কোচবিহার অনাসৃষ্টি সংগঠনের পরিচালনায় মৌচাষী কৃষ্ণপদ সরকারের উদ্যোগে এপিস মেলিফেরা প্রজাতির মৌমাছি কাঠের বাক্সে পালন করা হচ্ছে। এই মৌমাছি দ্রুত মধু সংগ্রহ করে তা বিপণনের জন্য তৈরি করে দেওয়ায় সক্ষম। প্রতিটি বাক্সে একটি করে রানী মৌমাছি সমেত কয়েক হাজার শ্রমিক মৌমাছি রয়েছে। এইরকম প্রায় কুড়ি টির বেশি বাক্স বসানো হয়েছে দিঘী চত্বরে। মূলত পদ্মফুলের মধু, আমের মধু, মূলা জাতীয় সবজির মধু সংগ্রহ করতে এই মৌমাছিরা সক্ষম। সর্বোপরি সর্ষের মরশুমে সরষে ফুলের মধু সংগ্রহ করতেও ব্যবহার করা হয় এই প্রজাতির মৌমাছিকে। খুব অল্প খরচে এই বাক্স তৈরি করা যায়। চাহিদা অনুযায়ী মধু উৎপাদন হলে লাভ প্রচুর। সুতরাং, এই মধু সংগ্রহ করে কর্মসংস্থানের একটি ব্যবস্থা করতে পারে কোচবিহারের যুবসমাজ। কোচবিহার জেলার কৃষি বিজ্ঞানী তথা সাত মাইল সতীশ ক্লাব ও পাঠাগারের কর্ণধার অমল রায় জানাচ্ছেন, মৌমাছি প্রতিপালন অত্যন্ত লাভজনক একটি কৃষি ক্ষেত্র। শাকসবজি চাষের মত মৌমাছি প্রতিপালন ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বিভিন্ন ফুলের আলাদা আলাদা মধু তার স্বাদ এবং গন্ধ আলাদা আলাদা, এমনকি উপকারিতা ও আলাদা আলাদা। অনাসৃষ্টি সংগঠন যে কাজ করছে এর মাধ্যমে পদ্ম মধুর উৎপাদন হলে তা যথেষ্ট লাভজনক হবে।

Related posts

Leave a Comment