রবিবার গভীর রাতে পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর করাচিতে সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন চীনা নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া একজন চীনা নাগরিক আহত এবং বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন। সোমবার পাকিস্তানে চীনা দূতাবাস এই ঘটনার কথা জানিয়েছে।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন রাত ১১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। রবিবার যখন পোর্ট কাসিম ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির একটি কনভয়ে দেশটির দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী শহর করাচিতে জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সন্ত্রাসবাদীরা আক্রমণ করে।
চীনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, “পাকিস্তানের চীনা দূতাবাস এবং কনস্যুলেট এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। দুই দেশের নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায় এবং আহত ও তাদের স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানায়।” ঘটনার পরের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাকিস্তানি পক্ষ তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
সিনহুয়া বার্তা সংস্থা পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রবিবার রাতে করাচির বিমানবন্দরের কাছে একটি বিশাল বিস্ফোরণের পরে একটি বড় অগ্নিকাণ্ড বেশ কয়েকটি গাড়িকে ভস্মীভূত করে।
পাকিস্তানে চীনের দূতাবাস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জরুরি ভিত্তিতে এই ঘটনায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার দাবি জানিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানকে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। হামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে হবে এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
দূতাবাস জোর দিয়ে বলেছে যে, পাকিস্তানে চীনা নাগরিক, প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্পগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাস্তব এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে ঘটনার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানে চীনা দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলি পাকিস্তানে চীনা নাগরিক এবং কোম্পানিগুলিকে সতর্ক থাকতে, স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এবং নিরাপত্তা সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।”
নিষিদ্ধ সংগঠন বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি বিবৃতির মাধ্যমে হামলার দায় স্বীকার করেছে, যদিও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ এটি নিশ্চিত করেনি।
করাচিতে বিস্ফোরণে তিন চীনা নাগরিকসহ বেশ কয়েকজন নিহত
