শঙ্কর মণ্ডল: কমিউনিস্ট পার্টির ধর্ম নিয়ে বিশেষ করে হিন্দু বা সনাতনীদের নিয়ে ওদের আসল বক্তব্য পরিষ্কার। হিন্দু ধর্ম হল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পাহারাদার। আসলে কমিউনিস্ট পার্টি মানব জাতির জন্য একটি বিষধর সর্প স্বরূপ। তাই ওদের জন্য কী আচরণ করা উচিত, তা মানুষই স্থির করবে আগামী দিনে। আর শুধু কমিউনিস্ট পার্টিকেই বা বলব কেন? এই মুহূর্তে আই. এন. ডি. আই. এ. নামক তথাকথিত ইণ্ডিয়া নামকে ব্যবহার করে যে চোর, জোচ্চরগুলি হৈচৈ করছে, তাদের অন্যতম সঙ্গী উদয়নিধি স্ট্যালিন যেভাবে করোনা, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি ভাইরাসের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের তুলনা করে ভারতের জন্য এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ তৈরির চেষ্টা করছে, তা যদি প্রতিহত করা না হয়, তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে এই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও এই জোটের শরিক বলেই দাবি করেন। তার মানে হিন্দু ধর্মের প্রতি ওদেরও মনোভাব স্পষ্ট। আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে রাষ্ট্রকে অস্বীকার করে রাজ্য কিছুই করতে পারে না। সেটা যদি কেউ না বোঝে, তাহলে তা দুর্ভাগ্যের। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে সরকারের টাকা নষ্ট করে বিদেশ ভ্রমণ ছাড়া যে আর কিছুই নয়, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা সারা পৃথিবীর জানা আছে। অবশ্য তৃণমূলও এই রাজ্যের অবস্থা শ্রীলঙ্কার সমতুল্য করে তুলেছে। সেটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তাই বিশ্ববঙ্গ সন্মেলনে শ্রীলঙ্কাকে আমন্ত্রণ বাংলার জন্য অবশ্যই উপযুক্ত। আর তাছাড়া এর আগে সবকটা শিল্প সন্মেলনই কেবল গ্যালারি শো ছিল, নেট রেজাল্ট অশ্বডিম্ব। সেটা তো সবাই জানেন।
আসলে এই রাজ্যের বুকে দুর্নীতি একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে। ইডি, সিবিআইয়ের প্রতি সাধারণ মানুষ আজ বিরক্ত এই রাজ্যের বড়ো মাথাদের ধরতে পারছে না বলে। আর সবকিছুকে ডিফেন্ড করতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম টেনে আনার চেষ্টাও তৃণমূলের দেউলিয়াপনা ও শুভেন্দু অধিকারীর টিআরপি বাড়াতেই সাহায্য করছে। সুতরাং রাজনীতি ছিল, আছে, থাকবে।
লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। প্রবন্ধের সমস্ত মতামত তাঁর বা ব্যক্তিগত।
next post
