দিল্লি: শনিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী, দুপুর তিনটে থেকে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হয়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আজ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই ঘোষণা করে। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সারা দেশে প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার রয়েছে। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে ৯৬.৮ কোটি মোট ভোটার। যার মধ্যে ৪৯.৭ কোটি পুরুষ ও ৪৭.১ কোটি মহিলা ভোটার। আর নতুন ভোটার রয়েছেন ১.৮২ কোটি। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ কোটি পুরুষ ভোটার রয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪৯ কোটি ৭০ লক্ষ।
অন্যদিকে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৪৭ কোটি ১০ লক্ষ। তবে দেশের ১২টি রাজ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা পুরুষদের থেকে বেশি। দেশে নতুন ভোটারের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৮২ লক্ষ। যার মধ্যে ৮৫ লক্ষের বেশি মহিলা ভোটার। পাশাপাশি, ৮৫ উর্দ্ধ ভোটারের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৮২ লক্ষ। সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষের বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এবারের সাধারণতন্ত্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ভোটগ্রহণে ৫৫ লক্ষ ইভিএম ব্যবহৃত হবে। দেশে মোট ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে।
কমিশন স্পষ্টভাবে এদিন জানিয়ে দিয়েছে, হিংসা হলে কড়া পদক্ষেপ করুক জেলা প্রশাসন। সন্ত্রাসমুক্ত ভোট করতে পদক্ষেপ করতে হবে ডিএম এবং এসপি-দের। ভোটের কাজে অস্থায়ী ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করা যাবে না। অভিযোগ পাওয়ার ১০০ মিনিটের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন ও নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১৯৫০-এ ফোন করলেই ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাল কমিশন। ভোটের আগে এবং ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে কঠোর পদক্ষেপ করবে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় প্রতি জেলায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।
ভোটারদের অর্থের টোপ দিলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে কমিশনের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ভোটে কোনওরকম উস্কানিমূলক ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা যাবে না। অবাধ ও রক্তপাতহীন ভোট করাতে কড়া পদক্ষেপ নেবে কমিশন।
প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল): কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি
দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল): রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং
তৃতীয় দফা (৭ মে): মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর
চতুর্থ দফা (১৩ মে): বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল
পঞ্চম দফা (২০ মে): শ্রীরামপুর, বারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ
ষষ্ঠ দফা (২৫ মে): পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর
সপ্তম দফা (১ জুন): উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম
previous post
next post