চণ্ডীগড়: বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিং, যিনি বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে আসামের একটি কারাগারে বন্দী। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে পাঞ্জাবের খাদুর সাহেব আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন। গতকাল বুধবার তাঁর আইনজীবী দাবি করেছেন,
তাঁর বাবা, তারসেম সিং বলেছেন যে, তিনি বৃহস্পতিবার তাঁর ছেলের সঙ্গে দেখা করার পরেই এই বিষয়ে মন্তব্য করবেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, অমৃতপাল সিং এর আগে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখাননি।
অমৃতপাল সিংয়ের আইনি পরামর্শদাতা রাজদেব সিং খালসা দাবি করেছেন, তিনি বুধবার ডিব্রুগড় জেলে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আইনজীবী খালসা বলেন, “আমি আজ ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে ভাই সাহেবের (অমৃতপাল সিং) সঙ্গে দেখা করেছি। এবং বৈঠকের সময় আমি ভাই সাহেবকে অনুরোধ করেছিলাম যে ‘খালসা পন্থ’-এর স্বার্থে, তাঁকে এবার সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য খাদুর সাহেব থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। ভাই সাহেব পান্থিক প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে আমার অনুরোধ মেনে নিয়েছেন… তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন।”
প্রসঙ্গত ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল সিংকে গত বছরের এপ্রিলে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর এনএসএ আইন প্রয়োগ করা হয়। অমৃত পাল তাঁর ৯জন সহযোগীসহ বর্তমানে ডিব্রুগড় জেলে বন্দী রয়েছেন।
অমৃতপাল সিং, যিনি নিহত খালিস্তানি সন্ত্রাসী জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের পরে নেতৃত্ব দেন। এবং এক মাসেরও বেশি সময় অনুসন্ধানের পরে গত বছরের ২৩ এপ্রিল মোগা রোডে গ্রেপ্তার হন। এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে জলন্ধর জেলায় পুলিশের হাত থেকে গাড়ি পাল্টে এবং চেহারা পরিবর্তন করে পালিয়ে যান।
পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২৩শে ফেব্রুয়ারি অমৃতপাল সিং এবং তাঁর সমর্থকরা তাঁদের অন্যতম সহযোগী লাভপ্রীত সিং তুফানের মুক্তির জন্য তলোয়ার ও বন্দুক নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙ্গে অমৃতসর শহরের উপকণ্ঠে থানায় ঢুকে পড়ে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
তিনি এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শ্রেণী বৈষম্য ও বিচ্ছেদ ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা এবং সরকারি কর্মচারীদের আইনানুগ দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টির জন্য বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
previous post