সুমন মল্লিক, ০৯ এপ্রিল: আসল ওএমআর শিট খুঁজে না পেলে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে বলে বার্তা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। মঙ্গলবার প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় বিচারপতি মান্থা ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের আসল ওএমআর সিটের তথ্য খুঁজতে সিবিআইকে। তিনি বলেন আসল ওএমআর সিট পাওয়া না গেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ বলে ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে তল্লাশি করার নির্দেশ দেন সিবিআইকে।
উল্লেখ্য, শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত মামলা পূর্বে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে ছিল। বিচারপতি গাঙ্গুলির স্বেচ্ছা অবসরের পর মামলাগুলি বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে স্থানান্তরিত হয়। রাহুল চক্রবর্তী সহ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী ২০১৪ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থার এহেন পর্যবেক্ষণ রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
বিচারপতি মান্থা ক্ষোভের সুরেই বলেন, ” ওএমআর সিটের আসল তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে অতিরিক্ত রিপোর্ট দিয়ে স্পষ্ট করে জানাতে হবে যে নিয়োগ কিভাবে হয়েছে, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে।”
এবিষয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, প্রাথমিক তদন্তে ৩০৪ জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে তার চার্জশিট ও অতিরিক্ত চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে। এরপর বিচারপতি বলেন, এই মামলা সংক্রান্ত সিবিআইয়ের অনেক রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েনি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সেই সব রিপোর্ট অতি সত্ত্বর এজলাসে পৌঁছনোর নির্দেশ দেন তিনি।
next post