19 C
Kolkata
December 23, 2024
সম্পাদকীয়

“এলোমেলো করে দে মা, লুটে পুটে খাই”

শঙ্কর মণ্ডল

এলোমেলো করে দে মা, লুটে পুটে খাই। হ্যাঁ, তাই হয়েছে এই রাজ্যে। লটারির টাকা যখন তখন, মানে ইচ্ছা করলেই পাওয়া যায়। সেটাই উঠে আসছে ইডির তদন্তে। গণ্ড মূর্খ কেষ্ট শুধু মাগুর মাছ বেচেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়নি। সেই সঙ্গে লটারির টাকা পেতে তাঁর কৃতিত্ব অস্বীকার করা যাবে না। তিনি এই ব্যাপারে একা নন, নিজের মেয়েও তাঁর শাগরেদরাও লটারি পেয়েছে ইচ্ছা মতো। চাকরি বিক্রি নিয়ে যে নজির সৃষ্টি করেছে এই রাজ্য, তা দেখবার জন্য সারা দেশ নয়, আসতে চাইছে সমগ্র বিশ্বের প্রতিনিধিরা। লুটে পুটে খাওয়ার নিদর্শন এখন আর বিরোধীদের দিতে হবে না।

বিধায়ক সুব্রত সাহা প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন। আর বোমা শিল্প এমন দক্ষতা দেখাচ্ছে, তাতে ইউক্রেন রাশিয়ার জবাব দিতে এবার কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের শরণাপন্ন হবে। আর নির্বাচনে এদের হারিয়ে জয় পেতে যে রক্তপাত ঘটে চলেছে, তাতে একে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করা যায়। আদালত রায় দিতে দিতে ক্লান্ত। আদালতের নির্দেশ মেনে নিতেও এরা রাজি নয়। কারণ ওরা ভোটে জিতে এসেছে। আর তাই যা ইচ্ছে তাই করতে করতে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার দফারফা করে একদল মূর্খকে মাষ্টার বানিয়ে ফেলে। এমনকি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এই মূর্খদের বহাল রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই চরম অরাজকতার মধ্যে এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকেও নিজেদের অসাংবিধানিক কাজের শরিক বানাতে মাননীয়া ও তাঁর অনুপ্রেরণাকারীরা বদ্ধ পরিকর। আর এই প্রচেষ্টা না মানায় জগদীপ ধনকড়কে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়। নবনিযুক্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই বিষয়ে যথেষ্ট অবগত। তাই তিনি প্রথমেই বার্তা দিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে আসছেন। রাজনৈতিক নেত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে নয়। দক্ষ প্রশাসকের এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এই রাজ্যপালের জন্য আমরাও অপেক্ষা করছিলাম। কারণ অস্থায়ী রাজ্যপাল গণেশবাবুর ওপর ভরসা করা অসুবিধা হচ্ছিল। ওনাকে পাওয়াও মুশকিল ছিল। আর ও যেভাবে মমতা ব্যানার্জির মত স্বৈরাচারী সংবিধান অবমাননাকারীকে ঘটা করে নেমন্তন্ন করে পারিবারিক অনুষ্ঠানে নিয়ে গেলেন, তাতে সন্দেহ থাকাই স্বাভাবিক।

যাইহোক, এখন আমাদের ডেপুটেশন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, সারদাপীঠ খুলে দেওয়ার দাবি নিয়ে। এছাড়া ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম শৃঙ্খলা দেবীর মন্দির ও আদিনাথ মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবি নিয়ে। সেই সঙ্গে এই রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের অশালীন মন্তব্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করারও অনুরোধ থাকবে। সেই মন্তব্য অবশ্যই একদিকে যেমন তৃণমূলের অসভ্য নেতৃত্বের জন্য প্রযোজ্য, ঠিক তেমনি বিজেপির সন্মান নষ্টকারী মহান বিজ্ঞানীর (গরুর দুধে সোনা আবিষ্কারক) ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আর সর্বশেষ বিষয় হল, নিরীহ সহনশীল সনাতনীদের ওপর জেহাদীদের নৃশংস আক্রমণের প্রতিবাদ।

লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। লেখকের মতামত ব্যক্তিগত।

Related posts

Leave a Comment