শঙ্কর মণ্ডল: এবার গ্রুপ সি-তে ৮৪২ জনের চাকরী গেল। যা মোট নিয়োগের ৪১শতাংশ। না! আমি শতাংশের হিসাবে যাচ্ছি না। এতো পুরোটাই দুর্নীতির পাহাড়! পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেষ্ট জয় করা গেছে। কিন্তু এই দুর্নীতির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কি আবিষ্কৃত হবে? এখনও পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হচ্ছে, তারা নেহাতই চুনো পুঁটি। কিন্তু আসল মাছ কোথায়? কালীঘাটের ‘কাকু’-কে টাকা দিয়েছিল কুন্তল ঘোষ। এটা ওরই বয়ান বলেই শুনেছি।এবার ভুয়ো চাকরী পাওয়া ভাইঝি চলে এলো প্রকাশ্যে। কাকুর মালিক কি ছাড় পাবে? যেদিকে তাকাই, সেদিকেই শুধু অবৈধ টাকা। আর চাকরি যেন মাছের বাজারের মাছ বিক্রির মতোই বিক্রি হয়েছে।
বাংলায় একটা কথা আছে, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’। তাই চোরেদের সাগরেদরা যে কোনও অভিযোগের বিরুদ্ধেই উত্তর দিতে গিয়ে কেবল গলাবাজিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। যুক্তি দিয়ে খন্ডন করার কোনও চেষ্টাই নেই। আর একটি বিষয় এই রাজ্যের গণতন্ত্র ও আইন বা বলা ভালো সংবিধান একেবারেই লুন্ঠিত, তা বলার জন্য সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই রাজ্যের পুলিশ। যে পুলিশের বেআইনি কাজটাই এখন আইনে পরিণত হয়েছে। এঁদের কাজকর্ম এবং কথাবার্তা শুনলে কখনও মনেই হয় না, এরা আইনের ন্যূনতম পাঠ নিয়েছেন। আজকেও সেটিং করা সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর মিছিল আটকে গ্রেফতার করার সময় মহিলা পুলিশ না রেখে পুরুষ পুলিশ দিয়ে মহিলাদের গ্রেফতার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। ঠিক তেমনি বিজেপির স্বাস্থ্যভবন আন্দোলনেও পুলিশের বেআইনি পদক্ষেপ চোখে পড়ার মতো। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কোনও ক্ষমতা না থাকলেও সাধারণ মানুষ ও বিরোধী কর্মীদের ওপর অতি সক্রিয়তা এমনভাবে দেখায়। যাতে পুলিশকে দুষ্কৃতীকারী মনে হয়।
আর এ সব কিছুকেই ছাপিয়ে যায় তখন, যখন এই মাটিকে যুদ্ধের দেশ বানাবার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য সরকারের সক্রিয়তা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তাই মাকু, তৃণদের এই লড়াইও সম্পূর্ণ আই ওয়াশ। আসলে এরা দুজনেই যুদ্ধের দেশের সমর্থক। কিন্তু এরা জানে না, এখন বিশ্ব বিজ্ঞান শুধু ঈশ্বর কণা নয়, বেদান্তকেও মান্যতা দিচ্ছে। আর হাজার হাজার বছরের হেরিটেজ এই দেশে জ্বলজ্বল করছে। যা পশ্চিমি দেশের ২ হাজার আড়াই হাজার বছরের হেরিটেজকে ম্লান করে দেবে।
লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত।
previous post
next post