সংবাদ কলকাতা: কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস থেকে নিজেদের দায়িত্ব গুটিয়ে নিচ্ছে বিএসএফ। এই ট্রেনে তাদের নিযুক্ত বাহিনীকে অন্যত্র ডিউটিতে পাঠানো হবে। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত। সেজন্য তাঁদের পরিবর্তে এই ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব হস্তান্তরিত হচ্ছে রেল পুলিস (জিআরপি) ও আরপিএফ-এর হাতে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা আরপিএফ ও জিআরপি-কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনের নিরাপত্তার জন্য রেল পুলিস তৈরি করছে বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের শীঘ্রই প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। আরপিএফ মৈত্রী এক্সপ্রেসের পাহারার দায়িত্বে থাকবে। তাদের সহযোগিতা করবে জিআরপি।
উল্লেখ্য, দেশ বিভাজনের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিশেষত দুই পার বাংলার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে চালু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। কিন্তু, আয়ুব খান পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৯৬৫ সালে এই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কেটে যায় প্রায় ৪৩ বছর। অবশেষে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ফের মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়। সেসময় এই ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল আরপিএফ এবং জিআরপির হাতে। কিন্তু যেহেতু এই ট্রেন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে, সেজন্য ২০১৭ সাল থেকে বিএসএফ-কে এই ট্রেনের পুরোপুরি নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিএসএফের ২০ জন জওয়ান শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনের যাত্রাপথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। কমান্ডো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এইসব জওয়ানরা একে সিরিজের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেন। এই বাহিনী কলকাতা স্টেশনে যাত্রী ও লাগেজ পরীক্ষাও করেন।
এদিকে ২০১৭ সালেই কলকাতা ও খুলনার মধ্যে বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয়। এই ট্রেনেরও নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএসএফ-কে। করোনা মহামারীর সময় ট্রেন দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও ২০২২ সাল থেকে ফের চালু হয়েছে। তবে এবার নিরাপত্তার কাজে শুরু হয়েছে রদবদল।
পূর্ব রেলের আরপিএফ-এর আইজি এবং প্রিন্সিপাল চিফ সিকিউরিটি কমিশনার পরমশিব বলেন, ‘চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আরপিএফ রেলওয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই দায়িত্ব সামাল দেবে। রেলওয়ে পুলিশ সন্ত্রাস বা ‘অ্যান্টি স্যাবোটেজ’-এর দিকটি দেখবে। ট্রেনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আরপিএফ।’
previous post
next post