সংবাদ কলকাতা: গত বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তিনি।
ছোট পর্দা, দর্শকদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোধ হয় সকলের জানা। টেলিভিশনের চরিত্রগুলি হয়ে ওঠে দর্শকদের বাড়ি কিংবা একেবারে পাশের বাড়ির সদস্য। বাঙালির ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পারে মেগাগুলি। ২৪ অগাস্ট আয়োজিত হয়েছে এবছরের টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডস।
এদিন ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। এবছর মোট ৪১ ক্যাটাগরিতে ৪৬ জনকে সম্মান জানানো হচ্ছে। নিয়মিত পুরস্কারের পাশাপাশি এবছর আজীবন স্বীকৃতি এবং মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে শিল্পীদের।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ছোট পর্দার শিল্পীদের উদ্দেশ্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যেমন কারেন্ট ইস্যুগুলো সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলেন, তাঁদের প্রাণবন্ত রাখেন, মানুষের মনে জাগরণ তৈরি করেন। আমি গর্ব করে বলতে পারি, বেশিরভাগ মানুষ খবর দেখে না, এসব চ্যানেল দেখে। তাঁরা জীবনের হারানো ঠিকানা এখান থেকেই খুঁজে পায়। আপনাদের দেখানো কিছু ভাল জিনিসের জন্য মানুষ ভাবে, আমাদের এরকম ভাল মানুষ হতেই হবে। ভুলভ্রান্তি সবার মধ্যেই থাকে। কিছু কিছু অপরাধের দৃশ্যে লোকে আবার নকলও করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, যেহেতু খারাপ জিনিস লোকে বেশি তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে, কোনও অপরাধমূলক দৃশ্য দেখানোর পরে, কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারটা যদি আপনারা বিশেষভাবে দেখান, তাহলে প্রশাসনের জাগরণ হয় এবং আপনাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরাও অনেক কাজ করতে পারি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘বাংলা মিডিয়াম’, ‘গুড্ডি’, ‘রামপ্রসাদ’, ‘গাঁটছড়া’, ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-র মতো ধারাবাহিকের নাম। বিশেষভাবে প্রশংসা করলেন পর্দার রামপ্রসাদ- সব্যসাচী চৌধুরীর। তাঁর কথায়, “একদিন আমি সিরিয়াল না দেখতে পারলে নিজে নিজে ভাবি পরের দিন কী দেখাবেন। কারণ আমি জানি আপনারা কী দেখাবেন। তবে একটা জিনিস আপনাদের থাকেই, একজনের তিনবার বিয়ে হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটা কূটকাচালি থাকবেই। পজিটিভটাকে নেগেটিভ করে দিয়ে, সিরিয়ালটাকে বাড়িয়ে দেন। আর যদি কেউ চলে যায়, আপনারা তাঁকে মেরে দেন। এসবও আমি বুঝতে পারি।”
প্রসঙ্গত, বাংলা টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের সম্মান জানাতে, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডস। ২০১২ সালে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি। ২০১৪ তে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান।