23 C
Kolkata
December 23, 2024
উত্তর সম্পাদকীয়

এই রাজ্যটা জেহাদীদের গবেষণাগার

শঙ্কর মণ্ডল: এই বঙ্গে এখন শাঁখের করাত হল পুলিশ। একদিকে পুলিশ সরকারের কথা শুনতে গিয়ে নিজেদের ন্যায় নীতিজ্ঞান হারিয়ে কেবল রোবটের ন্যায় কাজ করছে। যার ফলে সমগ্র বিরোধী দল তো বটেই, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, যুক্তিশীল সমাজ এমনকি আদালতের কাছেও প্রতিদিন সমালোচিত হচ্ছেন। আর অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলেরও একাধিক নেতার কাছ থেকে তিরস্কৃত হতে হচ্ছে। তার মানে এটা বলতেই হয় যে, যার জন্য করি চুরি, সেই বলে চোর! আসলে এই রাজ্যের পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কিছু আধিকারিক অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে শাসকের দলদাসত্ব করতে গিয়ে নিজেদের দক্ষতা নষ্ট করে ফেলেছে।

আজ যে কোনও ঘটনার জন্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতেই হবে। সে বিভিন্ন বাজি কারখানার ঘটনাই হোক, অভিষেকের মিছিলে হামলায় হোক। এই সব ঘটনার কোনও আগাম খবর পুলিশ কেন সংগ্রহ করতে পারল না? এই পুলিশ বেআইনিভাবে একজন কম গুরুত্বপূর্ণ এমপি-কে সুরক্ষা প্রদান করতে, একটি রাজনৈতিক দলের আভ্যন্তরীণ নির্বাচনকে দেখভাল করতে, বিপুল ফোর্স নিয়োগ করেছে। আইন অনুযায়ী এই পুলিশের ভাড়া অনুযায়ী রাজ্য পুলিশকে টাকা দিতে হয় উক্ত রাজনৈতিক দলকে। যে কোনও ব্যক্তি এই বিষয়ে আরটিআই করলে তার উপযুক্ত তথ্য পেশ করতে বাধ্য সংশ্লিষ্ট দফতর। কিন্তু এখানেও সেই তথ্য পেশ না করে প্রশাসন আইন লঙ্ঘন করেছে।

এই রাজ্যের পুলিশ মিথ্যা কেস দিয়ে যেভাবে সাধারণ মানুষকে ও বিরোধী দলকে হেনস্থা করতে তৎপরতা দেখায়, তাতে মানুষের কাছ থেকে পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধাটাই হারিয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী কেবল নাটক ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন না। ওনার মিথ্যা ও বেআইনি বক্তব্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ হলেই মমতা ব্যানার্জী একজন মহিলা এই তত্ত্বকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।

যাই হোক, অপরাধীরা এখন যেভাবে নিজেদের নিরাপদ রাজ্য হিসাবে এই রাজ্যকে মনে করছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রী আর কত ক্ষমা চাওয়ার নাটক করবেন? আর ঠিকা চাকরিকে চাকরি বলে যে মিথ্যা ক্ষতিপূরণের নামে প্রদান করছেন, তাকে ধিক্কার জানানোর কোনও ভাষা নেই। কেন্দ্রের সরকার ছ’মাস পরে ফেলে দেবেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, এসব কথার কেউ গুরুত্ব দেয় না। কুঁজোরও চিৎ হয়ে শোবার ইচ্ছা হতেই পারে। কিন্তু তাহলে কি এটা সত্য হওয়া সম্ভব?

সুতরাং, একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে রাজ্য থেকে চলে যেতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। একটা খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যয় করার ফলে সঠিক হিসাব দিতে পারে না। আর তার জন্যই কেন্দ্র টাকা দিতে পারছে না। আর একটা কথা না বলে পারছি না, যে এই অপরাধীদের জন্য এনকাউন্টারই দরকার। তবেই অপরাধের সংখ্যা শেষ হবে। আর এই সমস্ত অপরাধের আঁতুড়ঘর খুঁজলে হয়তো বা আমার আসল বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণিত হবে। সেটা হল আমি মনে করি, এই রাজ্যটা জেহাদীদের গবেষণাগার।

Related posts

Leave a Comment