22 C
Kolkata
December 25, 2024
উত্তর সম্পাদকীয়

এই অসভ্য মমতা ও ভাইপোর পতন ঘটানো সম্ভব

শঙ্কর মণ্ডল: গণতন্ত্রের মৃত্যু, রক্ত আর রক্ত। এর দায় কার? তৃণমূল বলছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ইত্যাদি বিরোধীদের। বিরোধীরা বলছে শাসকের। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার কি এর দায় এড়াতে পারেন? কারণ, রাজ্যের প্রশাসনের সব ক্ষমতাই ছিল কমিশনের হাতে, রাজীবা সিনহা প্রথম থেকেই মাঠে নেমেছিলেন তৃণমূলের এজেন্ডাকে সফল করতে। আচমকা নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে শুরু করে অপদার্থ রাজ্য পুলিশ ও সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে এই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন মমতা ব্যানার্জীর অত্যন্ত আজ্ঞাবহ আইএস ডিগ্রীর কলঙ্ক মাননীয় রাজীবা সিনহা। মানুষ এই নির্বাচনকে কোনও ভাবেই একতরফা হতে দিতে চয়নি। তাই তারা যে যেখানে বিরোধীকে হাতের কাছে পেয়েছে, তার পক্ষেই সমর্থন করেছে ও তার হয়েই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সেক্ষেত্রে তা বিজেপি হতে পারে, সিপিএম হতে পারে, কংগ্রেস হতে পারে, আইএসএফ হতে পারে। এমনকি শাসকদলের বিক্ষুব্ধ সেই নির্দলও হতে পারে। আর তার ফলেই বিরোধীরা যেমন মরেছে, ঠিক তেমনি শাসক তৃণমূলও মরেছে। আর এখানেই বলতে হচ্ছে এই সমস্ত মৃত্যুর জন্য এই রাজ্যে একদিকে যেমন নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করা যায়, ঠিক তেমনি মমতা ব্যানার্জীকেও দায়ী করা যায়। এত বোমা, বন্দুক যার কাছেই থাকুক না কেন এই অবৈধ অস্ত্র না উদ্ধার করার জন্য রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীকেই দায় নিতে হবে। এই রাজ্যে এখন সব রাজনৈতিক আলোচনাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে, আর সাথে সাথে আশঙ্কার ঘনঘটা আরও শক্তিশালী হচ্ছে। কারণ, এইভাবেই দিনে দিনে ৭২ থেকে ৭৭ সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, তারপর সিপিএম ও বর্তমান তৃণমূল সরকারের শাসনকালে এই হিংসা ও ভোট লুঠের রাজনীতি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। তাহলে এর হাত থেকে মুক্তির রাস্তা কী?

এই অন্ধকারে কাউকে না কাউকে আলো জ্বালানোর কাজ করতেই হবে। একদিন মানুষ ভেবেছিল মমতা ব্যানার্জী সেই আলো জ্বালানোর কাজ করবেন। কিন্তু সেটা উনি করেননি। বরং এখন যেভাবে উনি বিরোধীরাও জেতার পর তার দলেই চলে আসবেন বলে যে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন, সেটা একটা ভয়ঙ্কর পোষ্টার হতে পারে। ঠিক নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার যখন হাউ হাউ করে কাঁদেন, তখন এটা অবশ্যই সেরা পোষ্টার হতে পারে গণতন্ত্রের ধ্বংসের জন্য। জানিনা, এরপরেও কেন্দ্র কেন কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছে না! আসলে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া আর কাউকেই এই অসভ্য তৃণমূলের হাত থেকে বাংলাকে উদ্ধার করতে সক্রিয় হতে দেখা গেল না। আমার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক কোনদিনই ছিল না। এখনও নেই। কারণ ও নতুন ব্যক্তি। তাই পরিচয় হয়নি। বেশ কিছু তল্পিবাহক ও অত্যন্ত দুর্বল, শুধুমাত্র কর্মী হওয়ার যোগ্য আমার সঙ্গে রাজনীতি করা কিছু ছেলেকে ওর পাশে দেখি। আন্দোলন করার মতো কোনও জ্ঞান বা সংগঠন বা জোরালো বক্তব্য রাখার মতো কোনও ক্ষমতাই এদের মধ্যে নেই। আমি আদর্শগত কারণেই জন্মলগ্ন থেকেই বিজেপি করি। কিন্তু একদিকে আদর্শ ও অন্যদিকে বাংলার মুক্তির জন্য শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করি। আবারও বলব, আদর্শকে সঙ্গে নিয়েই ব্যাপক জনমত তৈরি করেই এই অসভ্য মমতা ও ভাইপোর পতন ঘটানো সম্ভব।

লেখক সংযুক্ত হিন্দুফ্রন্টের সভাপতি। এই প্রবন্ধে সমস্ত মতামত তাঁর ব্যক্তিগত।

Related posts

Leave a Comment