November 1, 2025
জেলা

উন্নত প্রজাতির ফলের চারা থেকে কলম তৈরির প্রশিক্ষণ দিল বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

মিলন খামারিয়া, কল্যাণী: আজ বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সর্ব ভারতীয় ফল গবেষণা কেন্দ্র'(ICAR- AICRP on fruits)এর পক্ষ থেকে উন্নত প্রজাতির চারা থেকে কলমের সাহায্যে চারা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। একদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে পশ্চিমবঙ্গের ৮ টি জেলার(নদিয়া,উত্তর ২৪ পরগণা,দক্ষিণ ২৪ পরগণা,মালদা,মুর্শিদাবাদ,পূর্ব মেদিনীপুর,হাওড়া,বর্ধমান,হুগলি)৪০ জন কৃষি উদ্যোগী উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ করে ফল চাষের উপর এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কী ধরনের ফল কোন মাটিতে চাষ করবেন,কীভাবে ফলের ফলন বাড়ানো যাবে, কী কী প্রযুক্তি তাতে ব্যবহার করলে বেশি ফলন ফলানো যাবে,সে সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

এই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম সাহা,ATARI- এর ডিরেক্টর অধ্যাপক প্রদীপ দে,ডাইরেক্টর অফ রিসার্স অধ্যাপক জয়ন্ত তরফদার, ডাইরেক্টর অফ এক্সটেনশন পিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকল্প আধিকারিক অধ্যাপক দিলীপ কুমার মিশ্র, উদ্যানবিদ্ অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী, অধ্যাপক ফটিক কুমার বাউরি, ড.অনামিকা কর ও ড. সঞ্জীব দেবনাথ।

এদিন শুরুতেই ফল গাছ ও ফলের প্রধান কীটশত্রু ও তাদের প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেন ড. অনামিকা কর ও রোহন দাস।দু’-জনই পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে সবটা বুঝিয়ে দেন চাষিদের। ড. কল্যাণ চক্রবর্তী বিভিন্ন প্রকারের কলম তৈরি হাতে কলমে শেখান। গুটি কলম, জোর কলম ও কাটা কলমের সাহায্যে চারা তৈরি শেখান তিনি। তাকে সাহায্য করেন প্রকল্পের মালী কমল গোয়ালা ও নার্সারি ম্যান তাপস নাথ।

বিভিন্ন প্রকারের ফলের গাছ সম্পর্কে চাষিদের চেনানো হয়। এদিন বক্তব্য রাখেন উপাচার্য ড. সাহা। তিনি বলেন -” বর্তমান কৃষিকাজে জলবায়ু পরিবর্তন ভীষণ সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে। সেই পরিবর্তিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গবেষণার ধরন ও তার সম্প্রসারণ আমরা করছি।”

ড. প্রদীপ দে বলেন- ” আজকের উপস্থিত কৃষকরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রশিক্ষণ কাজের প্রচার করেন। তাতে মানুষ জানতে পারবেন আর তারা উন্নত চারা তৈরি করে ফলন বাড়াতে পারবেন।”

আজকের এই প্রশিক্ষণ শিবির সম্পর্কে এই প্রকল্পের আধিকারিক দিলীপ কুমার মিশ্র বলেন -” আজকে উপস্থিত চাষিরা হলেন ভগীরথের মতো। তারা কৃষি জ্ঞানকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন। যাতে মানুষ তাদের দ্বারা উৎসাহী হয়ে আরও বেশি করে উন্নত জাতের চারা লাগিয়ে ফসল ফলাতে পারেন। বেকাররা স্বাবলম্বী হোক,আত্মনির্ভরশীল ভারত গড়ে উঠুক,তাহলেই আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সার্থক হবে।”

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ গবেষণা অধিকর্তা ড.সুমনা রায়, ড. অঙ্কিতা রায়,ড. দেবলীনা মাঝি ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা,যারা বিশিষ্ট মানুষদের বরণ করে নিয়েছেন।

প্রশিক্ষণ শেষে উপস্থিত কৃষি চাষিদের হাতে জৈব সার,কীটনাশক,অনুখাদ্য,জার্সি,বিভিন্ন উন্নত প্রজাতির ফলের চারা ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।

Related posts

Leave a Comment