কিয়েভ, ২৫ ডিসেম্বর– দু’বছর পেরিয়ে গেলেও থামার নাম নেই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের। মস্কোর হামলার একের পর জবাব দিয়ে আত্মরক্ষার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ। দু’পক্ষকে সমর্থনের জেরে ইতিমধ্যে বিশ্বের তাবড়-তাবড় দেশ এই যুদ্ধে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন আমেরিকা ইউক্রেনের পক্ষে আবার উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার। রাশিয়ার হয়ে নিজের ১২ হাজার সেনা সৈনিক পর্যন্ত ইউক্রেনে পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উন।। সেই সৈনিকদের নিয়েই এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন ইউক্রেন প্রধান ভলোদিমির জেলেনস্কি। ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে নামা উত্তর কোরিয়ার ৩০০০ জওয়ান ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর হামলায় হয় মৃত্যু হয়েছে, না হলে আহত হয়েছেন। রাশিয়ার কুরস্ক প্রদেশে ঢুকে এই হামলা চালানো হয়। তাতেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার এক্স হ্যান্ডলে এক বার্তা দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কুরস্কে উত্তর কোরিয়ার নিহত এবং আহত সেনা সংখ্যা ইতিমধ্যেই তিন হাজার অতিক্রম করেছে। তবে একইসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলেনস্কি জানান, পিয়ংইয়ং মস্কোকে সাহায্য করার জন্য আরও সেনা ও যুদ্ধসামগ্রী পাঠাতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যার পালটা ইউক্রেনকেও উত্তর কোরিয়াকে কড়া জবাব দিতে হবে।উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার হুমকি উপেক্ষা করে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। বৈঠক করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তখনই যুদ্ধের ময়দানে মস্কোকে নিঃশর্তভাবে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন কিম। ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে দু’দেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হয়। এর পর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ১২ হাজার সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া।