সাগর, ১০ সেপ্টেম্বর: ইলিশ বোঝাই ট্রলার ডুবল সাগরে। এক বিদেশি জাহাজ ধাক্কা মারে ইলিশ ভর্তি ওই ট্রলারটিতে। এরপরই গভীর সাগরে ডুবে যায় সেটি। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জম্বুদ্বীপ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে। দুর্ঘটনার পরেই কিছুটা দূরে মাছ ধরতে থাকা মৎস্যজীবীদের অন্যান্য ট্রলার এগিয়ে এসে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৬ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে। ট্রলারটিতে প্রায় ১ টন ইলিশ ছিল। ট্রলারডুবির কারণে ভেসে যায় সমুদ্রের সেই সোনালী ফসল। এই ঘটনার জেরে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ট্রলার মালিকরা। যদিও পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধার করা হয়। কাছি দিয়ে নামখানা ঘাটে টেনে আনার ব্যবস্থা করা হয় ওই ট্রলারটি।
জানা গিয়েছে, গত ৫ তারিখ নৈনানের গাজিপুর ঘাট থেকে ১৬ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে এফবি রাজেশ্বরী ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। মাছ ধরে ফেরার পথে এই বিপত্তি ঘটে। মাঝ সমুদ্রে পড়ে কিছুটা অসুস্থও হয়ে পড়েন মৎস্যজীবীরা। যদিও পাশের ট্রলারগুলি প্রাথমিক শুশ্রুষা করে তাঁদের স্বাভাবিক করে তোলে।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগণার নৈনান গাজিপুরে রাজেশ্বরী ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। শুক্রবার রাত আড়াইটে-তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। গভীর সমুদ্রে ট্রলারটা তখনও মাছ ধরছিল। জাল পাতাই ছিল। একটা বিদেশি জাহাজ ভুল করে ধাক্কা ট্রলারটিকে মারে। তাতেই আমাদের ট্রলারটা ডুবে যায়। ট্রলারে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁরা সকলেই জলে পড়ে যান। যদিও আশেপাশের ট্রলারে অন্য যেসব মৎস্যজীবীরা মাছ ধরছিলেন, তাঁরা বড় বিপদ থেকে তাঁদেরকে উদ্ধার করেন। তবে তাঁদের পরিশ্রম ও খরচ করে ধরা ইলিশ মাছগুলির পুরোটাই জলে ভেসে যায়। এই ঘটনায় জালেরও ক্ষতি হয়েছে।”
ইলিশ বোঝাই ট্রলার ডুবল সাগরে
