সংবাদ কলকাতা: অনুব্রতর গোরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এবার নয়া মোড়! কেষ্টার ভিনরাজ্যে থাকা সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করল ইডি। তাঁর নামে-বেনামে সম্পত্তির নথি প্রমাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে ইডির তদন্তকারী অফিসারেরা। এত জমি বা সম্পত্তি কিনতে বীরভূম-এর দাপুটে তৃণমূল নেতা যে পরিমাণ অর্থ খরচ করেছেন, সেই টাকার উৎস জানার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লটারিতে জেতা টাকার জন্য আদৌ কোনও টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।
গোরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে অনুব্রত কন্যার নামে কোম্পানির হদিশ মিলেছে। ইডির প্রাথমিক ধারণা, গোরুপাচারের টাকাতেই এতসব সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ইডির আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু ব্যবসায়ী। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, অনুব্রতর কথা মতো একাধিক কোম্পানি খুলে গোরু পাচারের টাকা সরানো হয়েছিল। শুধু এই রাজ্যে নয়, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে অনুব্রতর বেনামে সম্পত্তি রয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে কেষ্টর কয়েকশো একর জমি রয়েছে। এছাড়াও ঝাড়খণ্ডে ফ্ল্যাট ও বাংলো রয়েছে। ঝাড়খণ্ডে পাথর খাদান মালিকদের ‘ম্যানেজ’ করে তাঁদের ব্যবসায় টাকা ঢোকান অনুব্রত। ওই টাকায় পরে ফ্ল্যাট এবং বাংলো কেনা হয়। উত্তরপ্রদেশে জমি কেনা হয়েছে দুধের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। ওই ব্যবসায়ীরা আবার গোরু কেনাবেচায়ও জড়িত।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জমি কেনাবেচার একটা বড় অংশের টাকা নগদেই মেটানো হয়েছে। এভাবে কেনা সম্পত্তিগুলির একটি তালিকা তৈরি করেছেন তদন্তকারীরা। তা ধরে ধরে নথিপত্র জোগাড়ের কাজও চলছে। সম্পত্তিগুলির আগের মালিকদেরও ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখছে ইডির অফিসাররা। লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়ায় ইডির মূল উদ্দেশ্য।
previous post