RAINMAN! Rainman! Rainman! কে এই রেইনম্যান? উনি কি উন্মাদ? নাকি বিজ্ঞানী? নাকি কোনও চমৎকারি বাবা? উনি কিভাবে বলছেন আসামের হিন্দুদের ছেড়ে দাও, নচেৎ আসাম বন্যায় ভেসে যাবে। গত দু-তিন বছর ধরে উনি গলা ফাটাচ্ছেন। হিমন্তকে রেকর্ড করা মেসেজ পাঠাচ্ছেন। ইউটিউবে আপলোড করছেন। বলছেন, একদিকে জেহাদ আরেক দিকে তোমার জেল। কিভাবে সাধারণ হিন্দু বাঙালিকে আসামের জেলগুলোতে আটকে রাখা হচ্ছে। সেই পাপের ফলে নাকি মনসুনের শুরু হতে না হতেই আসামে বন্যা আর কলকাতায় বৃষ্টির আকাল।
উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে সারি সারি মেঘ আসামের দিকে দুর্দান্ত বেগে কি এক রহস্যজনক কারণে ছুটে যাচ্ছে। কি সেই অজানা রহস্য? এমন কি জাদু আছে Rain man’-এর বাঁশিতে? যার effect দু’বছর পরেও কাজ করে চলেছে? 2021-এর বিজয়া দশমী থেকে চার দিন শিলচরে বসে বাঁশি বাজিয়েছিলেন। বলেছিলেন, কলকাতার সাইক্লোনটা বাংলাদেশে পাঠাবেন। সেই যে বাংলাদেশে প্রায় দশ বছর পর প্রথম সাইক্লোন ঢুকল, তারপর থেকে চিত্রাঙ্গ, মোকা সব সাইক্লোন বাংলাদেশের দিকেই মুখিয়ে আছে। কিভাবে বলছেন উনি এই কথা? উনি কি বিজ্ঞানী? নাকি উনি উন্মাদ?
কলকাতাবাসী, যাঁরা রেনম্যানকে জানেন, তাঁরা অনুরোধ করছেন, কলকাতাকে রেহাই দিতে এই তাপপ্রবাহের হাত থেকে। এবং বাংলাকে আসন্ন খরার হাত থেকে বাঁচাতে। কিন্তু RAINMAN বলছেন, তোমরা সবাই দোষী। তোমরা সবাই পাপী। সাধারণ বাঙালি হিন্দু, নিরাপরাধ হিন্দু, তাঁরা আসামের জেলে আটকে আছেন। আর তোমরা জেনে শুনে চুপচাপ আছো। তোমাদের উচিত আসামের জেল ভেঙে হিন্দুদেরকে বের করে নিয়ে আসা। প্রতিবাদে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া, সঙ্ঘবদ্ধভাবে আওয়াজ তোলা। কিন্তু হায়রে ভন্ড নির্বীর্য বাঙালি! প্রতিবাদ তো দূরে থাক, বাঙালি এতই হীন হয়ে গেছে যে বাঙালি বলে, হিন্দু বলে পরিচয় দিতেই কুন্ঠা বোধ করে। এরজন্য রেনম্যান অবশ্য দায়ী করছেন নপুংসক অর্থপিশাচ মিডিয়াকে।
না উনি কলকাতায় বাঁশি বাজাচ্ছেন না। পোড়া গরমে মরুক বাঙালি! যাঁরা সারা ভারতবর্ষে বাঙালি হিন্দুর দুর্দশার কথা জেনেও চুপচাপ মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত। রেইনম্যানের আরও বক্তব্য, উনি আবারও শিলচর যাবেন। বাঁশি বাজিয়ে আসবেন এবং আসামের বন্যা আরও যাতে পাকাপাকিভাবে স্থায়ী হয়, সেই ব্যবস্থাই করে আসবেন। যতদিন না অসহায় হিন্দু বাঙ্গালীদের আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলো থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তাতে যদি সারা ভারতবর্ষ খরাকবলিত হয়ে ওঠে, তাও সই। ভারত সরকার চাইলেই সমস্ত বাঙালি হিন্দুদেরকে ওসিআই স্ট্যাটাস দিতে পারে। ওসিআই হলো ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া।
উল্লেখ্য, রেইনম্যান একজন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। উনি রাইট টু ইনফরমেশন এক্ট-এ আসাম সরকারকে নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চেয়েছিলেন যে, কতজন হিন্দু বাঙালি আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে ভর্তি আছেন। কিন্তু আসাম সরকার উনাকে জানিয়ে দেয়, তাঁদের কাছে নাকি এই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান নেই। আসাম সরকার এবং আসামবাসীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য হল, হয় তোমরা হিন্দুদেরকে জেল ভেঙে বার করে নিয়ে এসো, না হয় বন্যা ও খরায় মরো!!!
কিভাবে বলছেন এই কথা? উন্মাদের মতো ঠেকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই কথাই সত্যি প্রমাণিত করছে।
previous post
next post