পুষ্পিতা চট্টোপাধ্যায়
ঐ যে দূরে অথৈ আকাশ, সাদা মেঘের দল
দীঘির বুকে পদ্মপাতায় বিন্দু বিন্দু জল
শুভ্র কাশে, মাঠে, ঘাসে ফড়িং ঝাঁকে ঝাঁকে
উড়তে উড়তে যায় হারিয়ে সোনা রোদের বাঁকে।
দুই পা গেলেই একটা নদী অপেক্ষাতে আছে
ধুলো মাখা উদাস বধূ আসবে কখন কাছে
নৌকো চলে মাঝির গলায় মিষ্টি মেঠো সুর
ভাসতে ভাসতে কাছে এসেই হারিয়ে গেল দূর।
ভরদুপুরে নূপুর বাজে ছুট্টে এসে দেখি,
একটা নদী ধুলো ধুয়ে আল্পনা দেয় এ কী
ভিজে শরীর আলতো আদুল ঠমক ঠমক চলা
গেলই চলে আড় তাকিয়ে হয়নি কথা বলা।
অমনি একটা খোলা বাতাস শাড়ির আঁচল ছুঁয়ে
পড়ল গিয়ে সোজাসুজি সবুজ রঙের ভুঁইয়ে
সবুজ মানে তেমনি সবুজ টিঁয়ে পাখির মতো
ধানজমিটা আকাশ-মাটি এক করে দেয় যত।
সন্ধ্যে নামে রাখাল ফেরে গরুমোষের সাথে
হিম মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে সন্ধ্যে প্রদীপ হাতে
রূপকথাময় ফুটছে তারা কাব্য কথাকলি
শরৎ শেষের ঘণ্টা বাজে আসছে দীপাবলি।
previous post
next post