18 C
Kolkata
December 24, 2024
রাজ্য

আলিবাবা ও চল্লিশ চোরের মতো নতুন নতুন গুপ্তধন বেরিয়ে আসছে বাকিবুরের

সংবাদ কলকাতা: আরও ১৮টি সম্পত্তির হদিশ পেল ED (ইডি)। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের বিপুল সম্পত্তির তালিকা যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো একের পর এক গুপ্তধন বেরিয়ে আসছে বাকিবুরের। একাধিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, পানশালা, কর্পোরেট অফিস, একাধিক সংস্থা, দুবাইয়ে জোড়া ফ্ল্যাট। এসবের খোঁজ তো মিলেছিল আগেই।

জানা গিয়েছিল, সিনেমায় টাকা ঢালা বাকিবুরের কারনামা। এবার হদিশ মিলল আরও জমি-সম্পত্তির। ইডি সূত্রের খবর, ২০০৪-২০২১, ১৭ বছরে রকেটের গতিতে সম্পত্তি বেড়েছে বাকিবুরের। ED-র দাবি, নথি বলছে, সবথেকে বেশি সম্পত্তি কেনা হয়েছে ২০১১-র পরে। বেশিরভাগ কোম্পানির ডিরেক্টর বাকিবুর নিজে অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা লেনদেনের জন্যই একাধিক কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে অনুমান ED-র। এর মধ্যে রয়েছে ৪টি রাইস মিল, কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। এমনকি বাকিবুরের ব্র্যান্ডেড পোশাক বিপণন সংস্থাও রয়েছে বলে দাবি ED-র।

আমডাঙার সাধনপুর, বাদুড়িয়া পুরসভা এলাকার পর দিন কয়েক আগে ফের আমডাঙার দাদপুরে মিলেছে বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির হদিশ। স্থানীয়রা দাবি করেন, আমডাঙার আধাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দাদপুর গ্রামে ২০১৬ ও ২০১৮-য় ২টি জমি কিনেছিলেন বাকিবুর। এই জমির মোট পরিমাণ ১১ বিঘা ৬ কাঠা। স্থানীয়দের দাবি, বাকিবুরের পরিকল্পনা ছিল, কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রকল্পে এখানে FCI-এর গুদাম তৈরির। কিন্তু, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

এর আগে, আমডাঙার সাধনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বাকিবুর রহমানের বিপুল জমি থাকার কথা জানা যায়। যেখানে চালকল তৈরির কথা ছিল। সেইমতো, জমিতে বালিও ফেলা হয়েছিল। কিন্তু, সেই চালকল তৈরি হয়নি। বাদুড়িয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, বিঘার পর বিঘা জমি হুমকি দিয়ে কম টাকায় লিখিয়ে নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান।

এদিকে ED-র হেফাজতে থাকাকালীন আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল আজ। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আজও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জেরা করবেন ED-র অফিসাররা। সূত্রের খবর, প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস ও বর্তমান আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র বয়ান সামনে রেখে জেরা করা হতে পারে জ্যোতিপ্রিয়কে। গতকাল মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিজিৎ ও মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দে-কে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন ED-র অফিসাররা।

Related posts

Leave a Comment