শঙ্কর মণ্ডল
শুভেন্দু অধিকারীও লাগাতার কিছু অতিরিক্ত কথা বলে নিজের রাজনৈতিক যোগ্যতাকে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন। আর তৃণমূলের পরিকল্পিত চক্রান্তের শিকার হল দেশের সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থা সিবিআই। এই বিষয়ে আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল সিবিআইয়ের। হ্যাঁ, আমি বগটুই কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত লালন সেখের মৃত্যু প্রসঙ্গে একথা বলছি। আর এই মৃত্যুকে নিয়ে লালনের স্ত্রী যে সমস্ত অভিযোগ করছেন ও যেভাবে নাটকীয় ভঙ্গিমায় একের পর এক বিবৃতি দিচ্ছেন, তাতে এই পুরো চিত্রনাট্য কালীঘাটের মস্তিষ্ক থেকেই যে এসেছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর দেশের সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে সিআইডি? এটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। আসলে সিবিআইকে ম্যালাইন করা বা সিবিআইকে তদন্ত থেকে দূরে সরানোই বর্তমান সরকারের মূল উদ্দেশ্য। সেটা জলের মত পরিষ্কার। তবে যেহেতু এটা এখন বিচারাধীন, তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু শুভেন্দুর এই ডিসেম্বর তত্ত্ব, কম্বল বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচি বা হঠাৎ করে ১২, ১৪, ২১ তারিখ উল্লেখ, ইত্যাদির মত আলটপকা কথা এই মূহুর্তে বন্ধ করা উচিত। তা নাহলে আগামী দিনে উনি জনগণের কাছে হাস্যাস্পদে পরিণত হবেন।
যাই হোক, আসল কথা হল যাঁরা কাস্টডিতে মৃত্যু নিয়ে চিৎকার করছে, বিশেষ করে কুণালের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলি, সিবিআই নিজের পরিকাঠামো নিয়ে সব কাজ করে না। সেক্ষেত্রে কাস্টডিতে সব লোক সিবিআইয়ের নয়। আর কুণালবাবুকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, আপনি জেলে আত্মহত্যার জন্য ট্যাবলেট কিভাবে পেয়েছিলেন? আর রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরির বিবৃতি মানে অসুখ করে মারা যাওয়ার তত্ত্ব নিয়েও তদন্তের প্রয়োজন আছে।
আর অন্যদিকে আবাস যোজনা ও তার সার্ভে করার জন্য আশা কর্মীদের নিয়োগ অত্যন্ত আপত্তিকর। এর ফলে একদিকে তৃণমূলের পক্ষে, মানে বেআইনিভাবে যাঁদের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে, তাঁদের আড়াল করার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনই তৃণমূলের কথামতো কাজ করার চাপ থাকতে পারে। আর ঐ চাপ নিতে না পেরে সৎ আশা কর্মীদের আত্মহত্যা করতেও হতে পারে। যা ইতিমধ্যেই একজন করেছেন। সুতরাং তৃণমূল সার্বিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। আর এর বিরুদ্ধে যে উপযুক্ত আন্দোলন করা প্রয়োজন, তা এই শৈশবসুলভ আচরণ করা নেতৃত্ব করতে ব্যর্থ।
লেখক সংযুক্ত হিন্দুফ্রন্টের সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত।
previous post