বিশেষ সংবাদদাতা, ভাঙড়: আবারও ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাশিপুর ও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। তবে গোটা ব্লক নয়, প্রতিটি পঞ্চায়েতের কেবল ২০০ মিটারের মধ্যেই এই ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ভাঙড় ২ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতে উপসমিতি গঠন রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উপসমিতি গঠন নিয়ে আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে ভাঙড়। এজন্য প্রতিটি পঞ্চায়েতের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত, মিটিং, মিছিল করা যাবে না। সেই কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত একদিনের জন্য ১৪৪ জারি করা হয়েছে।
এজন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। বারুইপুরের মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার বলেন, ‘‘সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত।’’ একমাত্র পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে জমি কমিটি। ইতিপূর্বে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার সময় আইএসএফের বিজয়ী সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন। উপসমিতি গঠনের সময় আইএসএফের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়েছে। ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি আসনে আইএসএফ জয়ী হয়েছে।
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েতের ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়। ১৪৪ ধারা জারি আছে, এই কারণ দেখিয়ে দু’বার (গত ১২ জুলাই এবং ১৭ জুলাই) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। পরে ৩১ জুলাই রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতে জানিয়ে দেয়, ভাঙড় থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এরপর গত আগস্ট মাসেও ভাঙড় ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের সময় ব্লক দফতর সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। সে বার ১৪৪ ধারা অমান্য করেই ব্লক দফতর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাঁঠালিয়া চৌমাথায় পথসভা করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পথসভা শেষে শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের নেতৃত্বে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী সমর্থক মিছিল করে ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে তোপ দেগেছিল আইএসএফ। সেই ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকেই পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠনে নিয়ে অশান্তির ঘটনা এড়াতে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
previous post