আগরতলা অফিস, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ : টিভি চ্যানেলগুলোর উপর একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। টিভিতে খবর পরিবেশন করতে না দেওয়ার উপর বিধি নিষেধ জারি করেছে। নির্দেশিকা জারি করেছে গত ২ ফেব্রুয়ারি। ভারত সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
তাতে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয় মাল্টি সিস্টেম অপারেটরস সহ স্থানীয় কেবল চ্যানেলগুলোতে প্ল্যাটফর্ম সার্ভিস চ্যানেলের মাধ্যমে কোনওরকম রেজিস্ট্রেশন ছাড়া স্থানীয় সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। এতে করে পেইড নিউজ পরিবেশন, কপি রাইটসের ভায়োলেশনের কারণে সঠিক এবং তথ্যসমৃদ্ধ খবর পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির উপর প্রভাব পড়ছে। ভারত সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী মাল্টি সিস্টেম অপারেটরস প্লাটফর্ম সার্ভিসের মাধ্যমে কেবলমাত্র স্থানীয় তথ্য সম্প্রচার করতে পারবে কিন্তু খবর নয়।
পরিবহন, আবহাওয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক, উৎসব, পরীক্ষা, ফলাফল, ভর্তি, কেরিয়ার কাউন্সেলিং, চাকরির সুযোগ, জনস্বার্থে সম্প্রচার, বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা, এই সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করতে পারবে এম এস ও। ভারত সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে মাল্টি সিস্টেম অপারেটর এবং স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরস দের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামী সোমবার পর্যন্ত যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম সার্ভিস চ্যানেলগুলোর মন্ত্রকের বৈধ রেজিস্ট্রেশন রয়েছে কিংবা কাগজপত্র জমা দিয়েছে তারাই একমাত্র তথ্য সম্প্রচার করার কাজটা চালিয়ে যেতে পারবে।
স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরস প্ল্যাটফর্ম সার্ভিস চ্যানেল হিসেবে গন্য হবে না। কেবলমাত্র তথ্য সম্প্রচার করতে পারবে এম এস ও। যার ফলে বড়সড় প্রভাব পড়বে সংবাদ জগতের উপর। কর্মহীন হয়ে পড়বে বহু সংবাদকর্মী। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় সংবাদ মহলের কাছে। শনিবার সকাল থেকে গোটা রাজ্যেও এ নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে বলা চলে। কেউ কেউ মনে করছে সরকারের ভুলত্রুটি সমস্ত কিছুই লুকাতে এ ধরনের সিদ্ধান্তের দিকে হাঁটছে। তবে মানুষ শুধু টিভি চ্যানেলের উপর ভরসা করে থাকে না, ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজে চোখ ভুলাতে ভুল করে না। সুতরাং এর প্রভাব সরকারের উপর পড়বে বলে মনে করছে সংবাদ মহল।
previous post