নতুন দিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর: দেশ জুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল পিএফআই। গঠন করা হচ্ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাস বাহিনী। তাদের উদ্দেশ্য কি? দেশকে বন্দুকের নলের সামনে দাবিয়ে রাখা? নাকি জোর করে দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করা? জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছিল এই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এই বিষয়টি আগেই গোয়েন্দাদের নজরে আসে। মেলে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ। সেজন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর এনআইএ এই মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে অভিযানে নামে। দেশের ১৫ টি রাজ্যে অভিযান চালানো হয়। প্রথম দফার অভিযানে ১০৬ জন পিএফ আই নেতা ও কর্মী গ্রেপ্তার হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মেলে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্যের উপর নির্ভর করেই সোমবার গভীর রাত থেকে দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু হয়। এবারেও মিলেছে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। যদিও এখনও এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ নয়।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে গঠিত হয় পিএফআই। একে রাজনৈতিক সংগঠন বলা হলেও, আদতে এটি একটি মৌলবাদী সংগঠন। তাদের কার্যকলাপ থেকে সেরকমই নিদর্শন পেয়েছে এনআইএ। এই দলটি মূলত প্রান্তিক, দলিত, আদিবাসী ও মুসলিম সমাজের ক্ষমতায়ণের কথা বললেও বাস্তবে তার উল্টোটা করতে থাকে। দেশ জুড়ে একাধিক হিংসাত্মক কার্যকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া মুসলিম যুবসমাজকে মৌলবাদী ভাবনায় চালিত করা ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশ জুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে বলে অভিযোগ।