বিশেষ সংবাদদাতা, শীতলকুচি: ফের মৃত্যু এরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের। অরুণাচলে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। এই রাজ্যের ইটাহারে ঘটেছে এই ঘটনা। মৃত ওই দুই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম যথাক্রমে গজেন বর্মন (৪৫) ও তাঁর ছেলে মনোজিৎ বর্মন (১৭)। তাঁদের বাড়ি শীতলকুচির সোনারচালুন গ্রামে। তাঁদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গিয়েছে, এক ঠিকাদার শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা অরুণাচল প্রদেশে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন। ওই ঠিকাদারের বাড়ি গোঁসাইহাটে। কিন্তু বেশ কিছুদিন কাজ করার পরও ঠিকাদার তাঁদের পারিশ্রমিক দিচ্ছিল না। সেখানে তাঁরা খাওয়ার জন্য স্থানীয় এক দোকানে ধারদেনা করেন। একই ঘটনা ঘটে অন্যান্য শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও। ঠিকাদার শ্রমিকদের পারিশ্রমিক না দেওয়ায় সেখান থেকে অন্য শ্রমিকরা পালিয়ে যান। কিন্তু গজেন বর্মন সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারেননি। তিনি তাঁর ভাইকে ফোন করে বাড়ি ফেরার জন্য টাকা পাঠাতে বলেন। কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় দুঃখজনক ঘটনা। রাতেই তাঁদের মৃত্যুর খবর আসে।
পুলিস সূত্রে খবর, অরুণাচলে তাঁরা যেখানে থাকতেন, সেখানে একই ঘরে বাবা ও ছেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এদিকে এই ঘটনার পর তাঁদের অরুণাচলে কাজে নিয়ে যাওয়া ঠিকাদারের মোবাইল স্যুইচ অফ। এই ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের আত্মীয় পরিজনরা গোঁসাইরহাট গোরুহাটি সংলগ্ন ঠিকাদারের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
মৃতের ভাই মজেন বর্মন বলেন, কিছুদিন আগে দাদার সঙ্গে আমিও অরুণাচলে কাজে গিয়েছিলাম। ঠিকাদার টাকা না দেওয়ায় কোনওক্রমে পালিয়ে বাড়ি আসি। বৃহস্পতিবার রাতেই দাদা ও ভাইপোর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ওরা আত্মহত্যা করতে পারেনা। ওদের খুন করা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করুক। এদিকে শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন বলেন, মৃতদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
previous post