শঙ্কর মণ্ডল: একবিংশ শতাব্দী ভারতের শতাব্দী। না, এটা যে কথার কথা নয় বা কেবল রং চঙে প্রচার নয়, তা ক্রমশ বিভিন্ন ঘটনাবলীর মাধ্যমে প্রমাণিত হতে চলেছে। হ্যাঁ, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩-র সফলতাই হোক বা সারা বিশ্বকে ভারতের নেতৃত্ব প্রদানই হোক বা আজ পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা। যা ক্রমশ ভারতের অধীনস্থ হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। সেকথা অস্বীকার করার উপায় নেই। আর এর জন্য অবশ্যই দরকার ছিল একটা যোগ্য নেতৃত্বের। আর সেই নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়েছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। তাই নিন্দুকেরা ইন্ডিয়া নামকে বিকৃত করে যতই ভারতের বর্তমান সরকারের সমালোচনা করুক না কেন, ভারতের যে ব্যাপক সাফল্য দেখা গেছে। তা এই ঘোরতর ঘরশত্রু, বিদেশি দালাল, বিশেষ করে কমিউনিস্টদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদতপুষ্টরা জনবিচ্ছিন্ন হবেই। সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এরা জানেই না, ঋষি অরবিন্দ তাঁর বিখ্যাত উত্তরপাড়া ভাষণেই বলেছিলেন, ভারত বিশ্বগুরু হবে। ভারত তার সংস্কৃতির জোরেই সারা বিশ্বকে পথ দেখাবে। আর চীন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা তো বটেই, পশ্চিমী দুনিয়ার অনেক দেশই তার সংস্কৃতির কারণেই ক্রমশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেমন এই অপদার্থ ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল- কেউ বিদেশী সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরে ও কেউ চরম অজ্ঞানতাকে আড়াল করে নিজেকে সর্বজ্ঞানী প্রমাণ করতে গিয়ে কখনও মহাকাশকে চন্দ্র ভেবে ও রাকেশ শর্মাকে রাকেশ রোশন বলে বক্তব্য রেখে ফেলেন। এদের পতন অনিবার্য।
আর এহেন পরিস্থিতিতে বর্তমান বিজেপির পশ্চিমবঙ্গে একদল মূর্খ অপদার্থদের দিয়ে কেবল সম্পর্ক অভিযানের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে যাওয়া লাভের থেকে লোকসানের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদ, ঔপনিবেশিক পরিকাঠামোর পরিবর্তন, বিকেন্দ্রীকৃত অর্থনীতির প্রাসঙ্গিকতা ও সর্বোপরি পরিস্থিতি অনুযায়ী সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সস্তা প্রশ্নের উত্তর তাৎক্ষণিকভাবে বোধগম্য হওয়ার মতো করে দিতে না পারলে তাঁদের দিয়ে মানুষের মন পাওয়া সম্ভব নয়। বরং বিপরীত হতে পারে। আসলে তার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আর সংগঠন ও জনমত কোনও নির্দিষ্ট ব্যাকরণ মেনে হয় না। আর কেউ ৫০ বছর রাজনীতি করলেই যে এই বিষয়ে উপযুক্ত হবে, তারও কোনও মানে নেই। অন্য দলের থেকে নেতা হিসেবে আসা বা বেশ কিছু অপদার্থ লোক নিয়ে তথাকথিত সংগঠক হলেও নয়।
যাই হোক, আজ যাদবপুর থেকে শুরু করে খড়গপুর আইআইটি, সর্বক্ষেত্রেই যে প্রবল অপসংস্কৃতিতে মজে আছে, আজ একসাথে বহু ছাত্র-ছাত্রী তাদেরকে এই বিষয় বা বলা ভালো একপ্রকার নেশা থেকে মুক্ত করতে হবে। ভারতীয় সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতাবাদ ও ভারতীয় অর্থনীতির পাঠদান ও সনাতনী ঐক্য সংগঠিত করাই হল ভারতের ভবিষ্যৎ।
previous post