সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: অবশেষে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের উদ্দেশ্যে কলকাতায় এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার এই বৈঠক হবে নবান্নে। যোগ দেবেন পূর্বাঞ্চলের একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। বৈঠকের একদিন আগেই শহরে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাত ৯ টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন অমিত শাহ। সেখান থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর গাড়িতে বসিয়ে রওনা হন দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য পুষ্পস্তবক নিয়ে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন জেলা ও রাজ্যের নেতারা।
মুরলীধর সেন লেনে ১৪ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, অমিতাভ চক্রবর্তী, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। সঙ্গে ছিলেন সুকান্ত, শুভেন্দু ও দিলীপ। পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে রাজ্য ও দলের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আর তাঁর এই দলীয় কর্মকান্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এতদিন যাঁরা সুকান্ত ও শুভেন্দুর মধ্যে বিভেদের গল্প খুঁজছিলেন, তাঁদেরকে বার্তা দিলেন অমিত শাহ। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, দলীয় কার্যে সুকান্ত ও শুভেন্দু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। অমিত শাহের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুই নেতার এই রাজনৈতিক সহাবস্থান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, সীমান্তের একাধিক সমস্যা সহ মোট ৪০টি বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। এই বৈঠক নভেম্বরে হওয়ার কথা হলেও পরে দিনক্ষণ পরিবর্তিত হয়। অবশেষে নির্ধারিত ১৭ ডিসেম্বর, শনিবার নবান্নের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত সোরেন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে যেসব বিষয়গুলি বিশেষভাবে আলোচিত হতে পারে, তার কয়েকটি আভাস পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেতে পারে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংক্রান্ত। তার মধ্যে বিএসএফ, গরু পাচার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপি নেতারা বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধ
