23 C
Kolkata
December 23, 2024
রাজ্য

অবশেষে সেই বেয়াদপ শিক্ষককে বদলি করা হল অন্য স্কুলে

রানাঘাট: অবশেষে সেই বেয়াদপ শিক্ষককে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। রানাঘাট-১ চক্রের অন্য একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে তাঁকে। গত সাত মাস ধরে স্কুল পরিদর্শকের অফিসে বসেই বেতন পাচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। তবে এখানেই শেষ নয়। বিচার বিবেচনা বোধহীন ওই শিক্ষক নিজেকে না শোধরালে আগামীতে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর। তেমনটাই জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুকুমার পসারি।

রানাঘাটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকের নাম পরিমল বাইন। বয়স ৫৬ বছর। ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের জন্য গত বছর জুলাই মাসেই তাঁকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি এক নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন তিনি। সেই অভিযোগে তোলপাড় হয়ে যায় এলাকা। বাধ্য হয়ে তাঁকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এতদিন বাড়িতে বসেই বেতন পাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, এই নিয়ে তৈরি হয় নানা বিতর্ক। অবশেষে নিয়মিত স্কুল পরিদর্শকের অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। সেই মতো পরিদর্শকের অফিসে হাজিরা দিয়েই বেতন পাচ্ছিলেন ওই শিক্ষক।

উল্লেখ্য, পরিমল বাইন রানাঘাটের চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ২০১৩ সালে। কিন্তু, ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে। তখন তাঁকে অন্য স্কুলে বদলি করা হয়। ২০২১ সালে ফের তাঁকে পুরনো স্কুলে ফিরিয়ে আনা হয়।

কিন্তু কথায় বলে, ‘কয়লা ধুলে ময়লা যায় না’। পরিমল বাইনের ক্ষেত্রে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। বদলি হয়েও তাঁর চরিত্র বদলায়নি। এবার পুরনো স্কুলে ফিরে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন এই ‘কীর্তিমান’ শিক্ষক। এতে ক্ষেপে যান ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিক্ষাদপ্তরে। সেই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে গত বছর ৯ জুলাই তাঁকে ফের স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গত সাত মাস ধরে স্কুল পরিদর্শকের অফিসে বসেই বেতন পেয়ে আসছিলেন তিনি। এবার রাজনৈতিক চাপে পড়ে তাঁকে অন্য স্কুলে বদলি করা হল। তবে সেখানে গিয়েই যে তিনি একই কাণ্ড ঘটাবেন না, এবিষয়ে নিশ্চিত নন সংশ্লিষ্ট স্কুলের অভিভাবকরা।

Related posts

Leave a Comment