শঙ্কর মণ্ডল
অবশেষে তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবীদের রাস্তায় নামতে দেখা গেল। কিন্তু ওই মিছিলে বিমান বসুদের দেখা গেল কেন? তাহলে তো ওটা একটা রাজনৈতিক দলের মিছিল হয়ে গেল। যদিও এই মিছিলে বাদশার মত অনেকেই পাকা বামপন্থী।এদিকে চাকদায় সিপিএম রাহুল সিনহার গাড়ি ভাংচুর করছে। আর পুলিশ থেকে শুরু করে তৃণমূলের মমতা থেকে ববি কখনও সিঙ্গুর কখনও দেউচাঁ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, সিপিএমকে টানছে। এভাবে অপ্রাসঙ্গিক সিপিএমকে প্রাসঙ্গিক করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে এইভাবে সিপিএম তৃণমূলের ছায়াযুদ্ধ কেবলমাত্র হিন্দু ভোট, বিশেষ করে আঁতেল ভোট বিভাজন করাই একমাত্র লক্ষ্য। সনাতনী জাগরণ বর্তমানে দ্রুত গতিতে ঘটছে। কেবলমাত্র অপদার্থ, রাজনৈতিক স্লোগান রচনা করার যোগ্যতাহীন কিছু মাথা দিয়ে নেংটি পরা লোকজনের গণ্ডা গণ্ডা পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র পদাধিকারী বানিয়ে সেলফি তোলার যোগ্যতা সম্পন্ন ও বলা ভালো নেতা বানিয়ে আর মঞ্চে ভিড় করিয়ে আর যাইহোক এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। এটা না বোঝার জন্যই কাজের কাজ হচ্ছে না।
এই রাজ্যে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ভাঙতে যে অনৈতিক কাজ করেছে তৃণমূল, তার পক্ষে বলতে গিয়ে কুণাল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগ নিয়ে কথা বলছে।কিন্তু ওই ব্যক্তি জানেনই না, যে এই রাজ্যের ন্যায় অন্য কোনও রাজ্যে যোগ্যদের বঞ্চিত করে, ওর জায়গায় টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার কোনও অভিযোগ নেই। আর এই রাজ্যের সরকার সিভিক পুলিশকে যখন চাকরি বলে চালাতে চাইছে, আর কচুরিপানার ব্যাগ ও কাশফুলের বালিশ তৈরি করার মত অবৈজ্ঞানিক পরামর্শ দিচ্ছে, তখন দিল্লির সরকার প্রকাশ্যে নিয়োগপত্র প্রদান করছে। তবে এই ড্যামেজ মেটাতে তৃণমূল লক্ষীভাণ্ডারের মত ডোলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে চলেছে। তাই এই মুহূর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাই ঐক্যবদ্ধ ও উপযুক্ত গণআন্দোলন ও সনাতনী জাগরণ। বাকিটা সময় বলবে।
লেখক সংযুক্ত হিন্দুফ্রন্টের সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত।