ময়নাগুড়ি, ৮ আগস্ট: নয় মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর করে খুন করার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর জামাই সহ শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যের দিকে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোক ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
জানা যায়, মৌলানি এলাকার প্রিয়াঙ্কা রায়ের সাথে রামশাই এলাকার বিশ্বদেব রায়ের বিয়ে হয় প্রায় বছর খানেক আগে। বিয়ের পর গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা রায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গৃহবধুর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতো বলে অভিযোগ। গত সোমবার রাতে আচমকা ব্যথা অনুভব করায় শ্বশুর বাড়ির লোক স্থানীয় কবিরাজ বা ওঝার কাছে নিয়ে যায়। এই অবস্থায় গৃহবধূ বাপের বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানালে বাপের বাড়ির লোক সেখানে পৌঁছায়। সেখানেই অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত হবে। বুধবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোক ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ মৃত গৃহবধুর স্বামী বিশ্বদেব রায়কে আটক করে। ইতিমধ্যেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৃহবধুর শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা।