সংবাদ কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডল পাকাল মাছের মতো পিচ্ছিল। তাঁকে ধরেই নাগালে পাচ্ছেন না ইডি-র আধিকারিকরা। সম্পত্তির সমস্ত সুবিধা ভোগ করছেন তিনি ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা। অথচ সেই বিপুল পরিমাণ বেহিসেবি সম্পত্তি কেনার সমস্ত দায় চাপাচ্ছেন তাঁর হিসাব রক্ষক ও চার্টার্ড একাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারির ওপর। তিনি বলেন, কিভাবে তাঁর মেয়ের নামে এত কোম্পানি খোলা হল, সেবিষয়ে নিজে কিছুই জানেন না। এমনকি মেয়ে সুকন্যাও এবিষয়ে কিছু জানে না।
তিনি আরও বলেন, হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি নিজের ইচ্ছামতো এগুলি তৈরি করিয়েছেন। এবিষয়ে ইডি আধিকারিকরা পালটা প্রশ্ন করেন, তাহলে কোম্পানি তৈরির জন্য বিভিন্ন ফর্মে মেয়ে সুকন্যার সই এল কোথা থেকে? উত্তরে অনুব্রত বলেন, এব্যাপারে হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি ইচ্ছামতো এগুলি তৈরি করেছেন। তখন ইডি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ওই সিএ এসবের টাকা পেল কোথা থেকে? এবং কিভাবে পেল? উত্তরে বীরভূমের কেষ্ট বলেন, সেটা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
মণীশই মেয়ে সুকন্যার নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিজেই পরিচালনা করতেন। এর সঙ্গে তার পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই। তখন ইডি কেষ্টকে ফের প্রশ্ন করে, সেটা যদি সত্যি বলে ধরা হয়, তাহলে ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় সুকন্যার যেসব সই লেগেছিল, মণীশ সেই সইগুলি কোথা থেকে পেলেন? তখন অনুব্রত চুপ মেরে যান। তখন তিনি বার বার বয়ান বদল করেন। কখনও তিনি বলেন, মণীশ পরিবারের সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে সই করিয়ে নিয়েছেন। আবার কখনও বলেন, মণীশ নিজেই সই গুলি করেছেন।
এই বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের জন্য ইডি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অনুব্রত ও মণীশ দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। সেজন্য মণীশকে আগামী সোমবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস এভেনিউ আদালত।
previous post