সংবাদ কলকাতা: এবার জলের সন্ধান পাওয়া গেল সৌরজগতের বাইরের এক গ্রহে। পৃথিবী থেকে ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত নতুন এই গ্রহের সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৯ সালে প্রথম এই গ্রহটির অস্তিত্ব টের পান। যার আকার অনেকটাই বেশি। এমনকি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির থেকে আকারে দশ গুণ বড় এই গ্রহ। তাঁরা এই গ্রহটিতে জলের চিহ্ন পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। সম্প্রতি এই গ্রহের একটি ছবি সামনে এসেছে। নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ক্যামেরা দিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়েছে। ডব্লিউএএসপি-১৮বি নামের এই গ্রহটি এখন বিজ্ঞানীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এই গ্রহটি নিয়ে মানুষের কৌতূহল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অনুসন্ধানীদের মনে উঁকি দিচ্ছে নানা প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন তথ্যসূত্র পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, এই গ্রহে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি রয়েছে। প্রথমে বিজ্ঞানী মহলে এটি একটি অতি উষ্ণ গ্যাসীয় গ্রহ হিসেবে পরিচিতি পেলেও সম্প্রতি সেখানে জলের হদিশ মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে আরও অনেক বিস্ময়কর তথ্য। এই গ্রহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ২৭০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রহটির বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রার তফাৎ রয়েছে প্রায় ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রহের যে অংশ নক্ষত্রের দিকে থাকে, সেই অংশের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। আর যে অংশ নক্ষত্রের উল্টো দিকে থাকে, তার তাপমাত্রা সবচেয়ে কম। বিজ্ঞানীরা আরও দেখেছেন, এই গ্রহে মাত্র ২৩ ঘন্টায় এক বছর পূর্ণ হয়। অর্থাৎ নিজের নক্ষত্রের চারদিক একবার ঘুরে আসতে এই গ্রহের মাত্র ২৩ ঘণ্টা সময় লাগে।
কিন্তু এত তাপমাত্রা সত্ত্বেও এই গ্রহে জলের উপস্থিতি কিভাবে পাওয়া গেল? বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহলী বিজ্ঞানীরা। ডব্লিউএএসপি-১৮বি গ্রহটি আবিষ্কারের প্রায় ১৪ বছর পর বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা করতে পারেন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ক্যামেরার মাধ্যমে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে গ্রহটির ওপর নিখুঁত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়েছে। গ্রহটির আবহাওয়ায় জলের কণার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে এই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপই।