সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনের জেরে ছন্দপতন ঘটল ৩১তম ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে। একদিকে শাসক দল তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ, অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস, ছাপ্পা ও কারচুপির অভিযোগ তুলে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির প্রতিটা ব্লকে আন্দোলন। এই দুইয়ের মাঝে ছন্দপতন ঘটল শহীদ দিবসের। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও রাজ্যবাসীর হাহাকার, আর বুক ভেজা কান্নার জলে পিচ্ছিল হয়ে গেল ৩১ তম শহীদ দিবসের মিছিল ও সমাবেশ।
এপর্যন্ত শাসক দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী, বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রায় ৫৮ জন মানুষ খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছাড়া। জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকশো বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থক। রয়েছেন কংগ্রেস, বামফ্রন্ট ও আইএসএফ-এর বহু কর্মী। বাংলার মা, মাটি, মানুষ ও সবুজ ঘাস আজ রক্তে লাল হয়ে গেছে! রাজ্যের এরকম এক অন্ধকার সময়ে ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবস পালনে তৃণমূলের কতটা অধিকার আছে, তা আজ রাজ্য তথা দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
আর এরই প্রতিবাদ জানিয়ে পূর্ব ঘোষণা মতো আজ ২১ জুলাইয়ে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে বিজেপি অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। আর সেই আন্দোলনের ঝাঁঝে মিইয়ে গেল ২০২৩ সালের ৩১তম ২১ জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশে মমতা ও অভিষেকের কণ্ঠস্বর! ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা, সন্ত্রাস ও রক্তে ভেজা মা, মাটি ও মানুষ বারবার যেন শহীদ সভায় প্রশ্ন তুলছে, “একুশে জুলাই! সত্যি করে বলো, তুমি কার?”
previous post