সংবাদ কলকাতা: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসক মহলে। সেপ্টেম্বর মাসের পর ডেঙ্গি মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভাইরোলজিস্টরা। তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মতে, এখনও পর্যন্ত অন্যন্য শহরের তুলনায় কলকাতায় এখনও ডেঙ্গি অনেক কম। ভবিষ্যতে যাতে ডেঙ্গু কম থাকে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে দাবি মেয়রের। তাঁর যুক্তি, যেহেতু এখন করোনা নয়, লকডাউন নেই, তাই মানুষের চলাফেরার গতিবিধি বেশি। সেজন্য ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান তিনি। তবে মশা কোথায় কামড়াচ্ছে, সেটা চিহ্নিত করা তো মুশকিল। তাই আমরা আরও বেশি প্রচার করছি। মানুষ যাতে সচেতন হন, তার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। যেমন বাড়ি বাড়ি যাওয়া, রক্ত পরীক্ষা করা এবং ফিভার ক্লিনিক চালু রাখা হয়েছে।
মেয়রের দাবি, সামনেই দুর্গা পূজা। সুতরাং পূজাও হবে, প্রচারও হবে। যেহেতু আমরা এখানে জন্মেছি, প্যাঁচপেচে আবহাওয়া। তাই স্বাভাবিকভাবে ডেঙ্গু হবে। তার মধ্যে আমাদের লড়াই করে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, এখন কলকাতার চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি শনিবার ও রবিবার খোলা থাকবে। আজকে চারু মার্কেটে দেশপ্রেম শাসমল রোডের বাড়ি প্রসঙ্গে মেয়র জানান, এই ঘটনায় দুজন জখম হয়েছেন। আমরা তাঁদেরকে অকুপ্যান্সি সার্টিফিকেট দিয়ে বাড়ি ফাঁকা করে দিতে বলেছি। পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাঁরা বাড়ি ফাঁকা করে দেবেন। আর যদি কেউ সেখানে থাকতে চান, তাহলে টিনের শেড দিয়ে তাঁরা থাকতে পারেন।
এদিন চিংড়িঘাটা উড়ালপুল ভেঙে দেওয়ার খবর খারিজ করে দিয়ে বলেন, চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের ডিজাইনে গলদ ছিল। বামফ্রন্ট আমলে ব্রিজ তৈরি হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত উড়ালপুল ভেঙে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতামত যে, এখন এই উড়ালপুল ঠিকই আছে।
previous post
