সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা : আজ দেশে ৫জি টেলিকম পরিষেবা চালু করে নতুন জেনারেশনের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম ধাপে দেশের ১৩টি রাজ্যে মিলবে এই পরিষেবা। এই পরিষেবাটি আগামী কয়েক বছরে সমগ্র দেশকে ধীরে ধীরে কভার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপও পরিবর্তিত হতে চলেছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২২-এর ৬তম সংস্করণের বহু প্রতীক্ষিত এই পরিষেবাটি চালু করেন। দীপাবলির পরে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা সহ ১৩টি শহরে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
এই উদ্বোধনের পর, প্রধানমন্ত্রী ৫জি কী করতে পারে, তার প্রথম হাতের অভিজ্ঞতা পেতে বিভিন্ন টেলিকম অপারেটর ও প্রযুক্তি প্রদানকারীদের দ্বারা স্থাপন করা প্যাভিলিয়নগুলি পরিদর্শন করেন। তিনি রিলায়েন্স জিওর স্টল দিয়ে এই পরিদর্শন শুরু করেন। সেখানে তিনি জিও গ্লাসের মাধ্যমে ‘ট্রু ৫জি’ ডিভাইসগুলি পরিদর্শন এবং ব্যবহারের বিষয়টি দেখেন।
টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং রিলায়েন্সের ধনকুবের মুকেশ আম্বানি, ভারতী এয়ারটেলের সুনীল ভারতী মিত্তল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার কুমার মঙ্গলম বিড়লা সহ মোদী এন্ড-টু-এন্ড ৫জি প্রযুক্তির দেশীয় উন্নয়ন বোঝার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, সি-ডট এবং অন্যান্য স্টল পরিদর্শন করেন।
প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রীর সামনে যে বিভিন্ন ব্যবহারের ক্ষেত্র পরিদর্শিত হয়, তার মধ্যে রয়েছে নির্ভুল ড্রোন-ভিত্তিক কৃষিকাজ, উচ্চ-নিরাপত্তা রাউটার এবং এআই ভিত্তিক সাইবার হুমকি সনাক্তকরণ প্ল্যাটফর্ম, স্বয়ংক্রিয় নির্দেশিত যানবাহন, অ্যাম্বুপড -স্মার্ট অ্যাম্বুলেন্স, অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন, পয়ঃনিষ্কাশন নিরীক্ষণ ব্যবস্থা, স্মার্ট-এগ্রি প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য ডায়াগনস্টিকস প্রভৃতির। এই পরিষেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণ দৈঘ্যের সিনেমা কয়েক মুহূর্তে ডাউনলোড করা সম্ভব হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস যা এশিয়ার বৃহত্তম টেলিকম, মিডিয়া এবং প্রযুক্তি ফোরাম বলে দাবি করে। যৌথভাবে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ এবং সেলুলার অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া দ্বারা আয়োজিত হয়। সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিতে একটি শিল্প সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, ‘৫জি-এর যাত্রা খুব আলোড়নসৃষ্টিকারী হতে চলেছে। অনেক দেশ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কভারেজে পৌঁছতে একাধিক বছর সময় নিয়েছে৷ কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, এটি খুবই ক্ষিপ্রগতি সম্পন্ন টাইমলাইন এবং সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে ৮০ শতাংশ কভারেজের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই খুব অল্প সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ কভার করতে হবে।’