April 19, 2025
রাজ্য

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেরার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি সুকান্ত মজুমদার

সংবাদ কলকাতা: দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, গীতা জয়ন্তীর দিন শহরে আসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন।
ব্রিগেডে গীতা জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে বলেন, উনারা সমস্ত বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানাবেন। মুখ্যমন্ত্রীও একজন বিধায়ক। তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

আমডাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে আগুন জ্বালানো প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূলের নেতারাই তৃণমূলের দ্বারা পরিচালিত প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না। এক কথায় মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ। তাঁর দলের লোকেদেরই তাঁর প্রশাসনের ওপর ভরসা নেই। এটা লজ্জার বিষয়। আইসি বদল প্রসঙ্গে বলেন, আধিকারিকদের বদল করে কিছু হবে না। সিস্টেম বদল করতে হবে।

মালদার বামনগোলার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, এটা শুধুমাত্র মালদায় হয়েছে তা নয়, পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় এরকম আছে। মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এমন অবস্থা যে, রোগী নিয়ে যেতে গেলে মৃত্যু হবে। এটা অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। আমার সিটের ঘটনায় লালবাজার অভিযানের কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, এটা জেলার কর্মসূচি। জেলা যদি জানায় তাহলে হবে।
মলয় ঘটককে দিল্লি হাইকোর্টের রক্ষাকবচ না দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আইনমন্ত্রী যদি আইন না মানেন, তাহলে তো মুশকিল। ইডির সামনে যাওয়া উচিত।

জয়নগরে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। এপ্রসঙ্গে বলেন, পরিবার সিবিআই চাইছে। আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি। পরিবার যদি আইনি সহায়তা চায়, আমরা আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। আদালতে আসুক।

ভোট হিংসায় নিহতদের পরিবারকে চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এগিয়ে বাংলা সরকার। তাই চার মাস সময় লাগল। বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কের মাঝেই রাজভবনের উত্তর গেট রবীন্দ্রনাথের নামে করা হবে। এই প্রসঙ্গে বলেন, রবীন্দ্রনাথের নামে হলে কারও কোনও ক্ষতি হবে না আশা করি।

ভারতীয় দলের অনুশীলনের পোশাক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কি সবুজ করে দেবে, না নীল সাদা করবেন। এতে মুখ্যমন্ত্রীর বলার কি আছে? উনি ওনার রোহিঙ্গা ভোট ব্যাঙ্কে সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য এই কথাগুলো বলছেন।

রাজ্যের এজির পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, ভদ্র শিক্ষিত লোকেরা এদের সঙ্গে থাকতে পারবেন না। চোর চিটিংবাজ হলে থাকতে পারবে। উনি তো চোর চিটিংবাজ না। ওনার বাবা একসময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তাই তিনি থাকতে পারেন নি।

২৪ শে ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শহরে আসা প্রসঙ্গে বলেন, ওনার আসার সম্ভাবনা প্রবল। চলতি বছরে আর কোনও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসবে কিনা সেই প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচন আসছে। সবাই আসবেন।

Related posts

Leave a Comment